শেষ আপডেট: 1st February 2021 08:50
বর্ধমানে সিপিএমের সভায় রেকর্ড জমায়েতের চ্যালেঞ্জ, বিজেপি ও তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়ার হুঁশিয়ারি
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: এবার আসরে সিপিএম। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই ভোটের নির্ঘণ্ট জারি হওয়ার আগেই ওয়ার্ম আপ করে নিতে চাইছে লাল শিবির। রীতিমত হুঙ্কার দিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিএম, জে পি নাড্ডার র্যালির জমায়েতকে টপকে যাওয়ার চালেঞ্জ জানালেন সিপিএম নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বর্ধমানে সিপিআইএমের ডাকা জনসভায় বক্তব্য রাখতে আসছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি দলের পলিটব্যুরো সদস্য। এই সভাতেই জনজোয়ার নামবে বলে নেতৃত্বের দাবি। ভোটের আগে সিপিএমের নতুন স্লোগান –‘ফেরাতে হাল, ধরো লাল’। এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বর্ধমানে এই জনসমাবেশ। বর্ধমান জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক দাবি করেন ৯ জানুয়ারি বর্ধমানে নাড্ডার র্যালিতে যে সমাবেশ হয়েছিল তাকেও ছাপিয়ে যাবে এই সমাবেশ। তিনি বলেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমানের প্রতি বুথ থেকে লোক আসবে মানিক সরকারের সভায়। এমনকি নাড্ডার সভার পরের দিন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা অভিনেতা সোহমের যে র্যালি হয়েছিল তার থেকেও অনেক লোক আনতে সক্ষম হব আমরা।’’ অচিন্ত্যবাবু দাবি করেন, তাদের কর্মসূচিগুলিতে মানুষের যোগদান বাড়ছে। তারা লড়াইয়ের ময়দানে আছেন। শুধু বিজেপি বা তৃণমূল নয়, তারা একটা বড় শক্তি আগামীদিনে তা প্রমাণ হতে চলেছে। একসময় অবিভক্ত বর্ধমানকে লাল দুর্গ বলা হত। সেই লালদুর্গে এখন ঘাসফুলের বিজয়কেতন উড়ছে। কিন্তু লকডাউনের আগে ও পরে নানাভাবে তারা শক্তি সঞ্চয় করেছেন বলে মনে করছেন বামেরা। বর্ধমান শহরে জেপি নাড্ডার রোড শোয়ে ব্যাপক ভিড় হয়। তৃণমূলও পরের দিন বিরাট জমায়েত করে। এবারে দু'দলের জমায়েতের চেয়ে বেশি জমায়েত করার টার্গেট নিল সিপিআইএম। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতা অমল হালদার, তাপস সরকার ও সৈয়দ হোসেন।