শেষ আপডেট: 15th July 2020 12:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: আবারও করোনার থাবা পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকে। এবার খণ্ডঘোষের লোদনা এলাকায় দুই ব্যক্তির দেহে মিলল করোনা ভাইরাসের হদিস। আক্রান্ত দুই ব্যক্তিই কর্মসূত্রে অসমে ছিলেন বলে জানা গেছে। দিনকয়েক আগে তাঁরা বাড়িতে ফেরেন। তারপরেই নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ওই দুই ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে দেখা যায় ওই দুজনের শরীরেই করোনা সংক্রমণ হয়েছে। বুধবার এই খবর আসার পরেই তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল ও খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে যান। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে গিয়ে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করেন। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকাটিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইক নিয়ে প্রচার চলছে গ্রামে। এলাকার মানুষজনকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। কন্টেইনমেন্ট জোনে যাতায়াতের বিষয়েও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সব থেকে উদ্বেগের বিষয় পূর্ব বর্ধমানের করোনা পরিস্থিতি আবার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। মাসখানেক আগে ধীরে ধীরে জেলায় সংক্রমণের প্রকোপ কমে আসছিল। কিন্তু গত এক পক্ষকালে গ্রাফ আবার ঊর্ধ্বমুখী। একদিনে ৩৮ জন নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হয়েছে। জেলায় এই মুহূর্তে ৬৭ জন কোভিড রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯৪ জন। বর্তমানে মোট ৬৭ টি কন্টেইনমেন্ট জোন আছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। বর্ধমান শহরে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৭ টি। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ২৯১৩৬ জনের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সব পরিসংখ্যান চাপে রেখেছে জেলা প্রশাসনকে। তাই কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন,‘‘ যে এলাকাতেই কারও সংক্রমণ ধরা পড়ছে, সেই এলাকাতেই সাতদিনের লকডাউন করে দিচ্ছি আমরা। বিধি মেনে চলছে মানুষকে সচেতন করে তোলার কাজও।’’ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি বলেন, ‘‘কন্টেইনমেন্ট জোন থেকে মানুষকে বেরোতে বারণ করা হচ্ছে। তাঁদের প্রয়োজনের সমস্ত জিনিসপত্র এনে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে পুলিশ প্রশাসন।’’