শেষ আপডেট: 1st September 2020 07:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: নিম্নমানের চাল দেওয়ায় রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ভাতারের বামশোর গ্রামের উপভোক্তারা।
রেশনে দেওয়া জিনিসের দাম ও মান নিয়ে পরপর অভিযোগ ওঠায় কয়েকদিন আগেই পূর্ব বর্ধমান জেলার রেশন ডিলারদের নিয়ে বৈঠক হয়েছিল ভাতারে। উপভোক্তাদের ভাল মানের জিনিস সঠিক পরিমাপে দেওয়ার ব্যাপারে সেই বৈঠকে আলোচনা হয়। সপ্তাহ না ঘুরতেই রেশনে খাওয়ার অযোগ্য চাল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন ভাতারের বামশোর গ্রামের উপভোক্তারা।
মঙ্গলবার সকালে বামশোর গ্রামে রেশন দোকানে খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হচ্ছিল। উপভোক্তাদের চাল ,আটা ও ডাল দেওয়া হচ্ছিল এদিন। কিন্তু চালের গুণগতমান খুবই খারাপ বলে অভিযোগ ওঠে। অধিকাংশ চাল লাল হয়ে গেছে ও পোকা ধরা। গ্রামের মানুষজন প্রথমে পোকাধরা চাল নিতে অস্বীকার করেন। পরে তারা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রেশন দোকানের সামনে। উত্তেজনা ছড়ায় গোটা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা সেখ রফিক বলেন, ‘‘এর আগে আমরা রেশন দোকান থেকে মিনিকেট চাল পেয়েছি। লকডাউনের মধ্যে সেই চাল খেয়ে আমরা জীবনধারণ করেছি। কাজকর্ম কিছুই নেই। আয়ের পথ পুরোপুরি বন্ধ। রেশনে পাওয়া চাল ও অন্য খাদ্য সামগ্রী নিয়েই কোনওরকমে দিন গুজরান হচ্ছে। এখন রেশনের ভরসাতেই সংসার চলছে আমাদের। আমি প্রায় ৪৩ কিলো চাল পাই। কিন্তু আজ রেশনে যে চাল দেওয়া হচ্ছে তা গরু ছাগলেও খাবে না। খুবই খারাপ চাল। আমরা চাই এই চাল পরিবর্তন করে ভাল চাল দেওয়া হোক।’’
রেশন দোকানের মালিক কলিমুর রহমান অবশ্য দাবি করেন এই চালই পেয়েছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সরকারের থেকে এই চালই পেয়েছি। এখন বিলি করতে গিয়ে দেখছি চাল সত্যিই খারাপ। এই পোকাধরা ও লাল চালই এবার বস্তায় এসেছে। এতে আমরা কী করব? আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখন চাল বণ্টন করা বন্ধ রয়েছে।’’
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু জানান বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, ‘‘খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে আসল বিষয়টা কী। যদি গোডাউন থেকে খারাপ বা পোকাধরা চাল সরবরাহ হয় তাহলে ডিলারের কোনও দোষ নেই। সেক্ষেত্রে খাদ্য সরবরাহ দফতরের সঙ্গে কথা বলছি এই সমস্যা নিয়ে।’’