দ্য ওয়াল ব্যুরো, কোচবিহার: মিহির গোস্বামীর পর এবার জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। নিজের দলের কার্যকলাপ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিতাই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। মঙ্গলবার সকালে নিজের দফতরে বসেই পিকের লোকেদের সতর্ক করলেন তিনি।
দলের কার্যপ্রণালী নিয়ে এ দিন রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সিতাই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। বললেন, ‘‘মিহির গোস্বামী দল ছাড়লে তার প্রভাব পড়বে তৃণমূলে।’’ তাঁর উপরেও এর প্রভাব পড়বে কি না প্রশ্ন করা হলে জগদীশবাবু বলেন, ‘‘সময় কথা বলবে।’’
জগদীশবাবুর এমন ইঙ্গিতপূর্ণ কথায় জেলা তৃণমূল যে ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে তা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। আর তারপরেই বিধায়কের বাড়ি ছুটে যান প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের লোকজন। জানা গিয়েছে, পিকের লোকেদের সামনেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন জগদীশবাবু। দলের সভাপতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ জানান তিনি। সিতাই কেন্দ্রের অন্তর্গত দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকে বিধায়কের মতামত ছাড়াই বাইরে থেকে লোক এনে ব্লক সভাপতি পদে বসানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
এই মুহূর্তে দল ছাড়ার পথে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। জানা গেছে, তাঁর উদাহরণ বারবার পিকের লোকেদের সামনে এদিন তুলে ধরেছেন জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। মিহিরবাবু দল ছাড়লে আরও অনেক বিধায়ক দল ছাড়ার পথে পা বাড়াবেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মাস দেড়েক আগে সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহিরবাবু। তারপর গত সপ্তাহে বলেন, তৃণমূলে আর ফিরছি না। মঙ্গলবার ফেসবুকে তৃণমূলের লাগাম আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এই বিস্ফোরক পোস্ট ঘিরে সকাল থেকেই আলোড়ন পড়ে গেছে তৃণমূলের অন্দরে। নতুন করে শুরু হয়েছে মিহিরবাবুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা। এই পরিস্থিতিতেই এবার শোরগোল পড়ল সিতাইয়ের বিধায়ককে নিয়েও।