শেষ আপডেট: 24th June 2020 16:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার আর শুধু বিপর্যয় পরবর্তী সংস্কার নয়, উমফান বিধ্বস্ত সুন্দরবনের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার দুপুরে নবান্নে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা একটি সর্বদল বৈঠকের শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মমতা। বস্তুত, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সুন্দরবনের এই বিপুল ক্ষতি উমফানেই এই প্রথম বার হল না। এর আগেও বারবারই যে কোনও বড় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন। বারবার কোমর ভেঙে গিয়েছে এখানকার মানুষের জীবনের ও যাবনের। কৃষি থেকে পর্যটন সমস্তটাই ভেঙেচুরে গিয়েছে। তাই এবার আর কেবল ত্রাণ ও নির্মাণ নয়, চাই বিশেষ মাস্টার প্ল্যান। যে সব জায়গা বিপর্যয় প্রবণ, বারেবারে ক্ষতির মুখে পড়ে, সেসব জায়গায় সরকারের বিশেষ মাস্টারপ্ল্যান রয়েছে। যেমন রয়েছে বন্যাপ্রবণ ঘাঁটালের ক্ষেত্রে। সুন্দরবনেও এই যে বারবার দুর্যোগ, ঘর ভাঙা, মানুষের এত দুর্দশা, ঘর হারানো, তার একটা সমাধান প্রয়োজন। সর্বদলীয় বৈঠকে এদিন মমতা আলোচনা করেন, নীতি আয়োগের কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে। অনুরোধ করা হবে, নীতি আয়োগ যাতে বিশেষ টিম পাঠিয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র খতিয়ে দেখে সুন্দরবনে। তার পরে এমন ভাবেই কোনও মাস্টার প্ল্যান গড়ে তোলা যেতে পারে, যাতে বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তা পাওয়া যায় সুন্দরবনকে রক্ষা করতে। এদিনের বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে জানান, তাঁদের সকলকে নিয়ে গঠিত একটি কমিটি উমফানের পরবর্তী পরিস্থিতিতে নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আগামী দিনে পুনর্গঠনের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিটিতে থাকবেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী প্রমুখ। এর পাশাপাশি, ত্রাণ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হন, তা দেখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের নাম তালিকায় তুলতেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যাঁরা সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের নাম দায়িত্ব নিয়ে তালিকায় তুলুন। ত্রাণ বিলি নিয়ে কোনও দলের কোনও রকম রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। ফর্ম যদি কেউ ফিল আপ করতে না পারেন তাহলে সাদা কাগজে লেখা দরখাস্ত দিলেও বিডিওদের সে বিষয়টা দেখতে হবে।"