শেষ আপডেট: 1st March 2023 12:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: বিভিন্ন জেলা থেকে যখন অ্যাডেনোভাইরাসের (Adenoviruses) শিশু মৃত্যু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তখন উল্টো চিত্র বর্ধমান (Burdwan) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। মৃতের সংখ্যাও শূন্য। তবে ওষুধ, ভেন্টিলেটর সহ সমস্ত আপৎকালীন পরিষেবা মজুত রাখা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সপ্তাহ দু'য়েক আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে তিল ধারণের জায়গায় ছিল না। দৈনিক শিশু বিভাগের আউটডোরে জ্বর, সর্দি, কাশির মত উপসর্গ নিয়ে আসা শিশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০০। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে হঠাৎ করে শিশুদের জ্বর ও ঠান্ডা লাগার সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। জ্বর, সর্দির সমস্যাই হচ্ছে মূলত। অনেক শিশুর বুকে সর্দি বসে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হচ্ছে। ৬ মাসের শিশু থেকে কিশোর, সবার মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আউটডোরে যেমন ভিড় উপচে পড়ছে, তেমনই ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যাও বেড়েছে দ্বিগুণ।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তুভ নায়েক বলেন, ‘‘হাসপাতালে গড়ে যেখানে ৫০টি করে শিশু ভর্তি থাকত, সেখানে সেই সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। তবে কলকাতা সহ অন্যান্য জায়গায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও বর্ধমান হাসপাতালে এই ভাইরাসের উপসর্গে কেউ মারা যায়নি। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় মেডিকেল কলেজ নিজেরাই নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। বেশ কিছু রিপোর্টে অ্যাডেনোভাইরাসের উপসর্গ বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করেই মিলেছে ইতিবাচক সাড়া।’’
সপ্তাহ দু'য়েক আগের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দাবি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে , দৈনিক যেখানে প্রায় ৫০টি করে শিশু ভর্তি হচ্ছিল। সেই সংখ্যা ২০-২২ এ দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি যারা ভর্তি ছিল, তাঁরাও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। হাসপাতালে শিশু ভর্তিও কমেছে। অধ্যক্ষ কৌস্তুভ নায়েক জানান, পর্যাপ্ত ওষুধ এবং ভেন্টিলেটর রয়েছে। বর্তমানে মোট ন'টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। যার মধ্যে ৬টি শিশুদের জন্য ।
বাঁকুড়া মেডিক্যালে দুই শিশুর মৃত্যু অ্যাডেনোভাইরাসের উপসর্গেই, জানালেন সুপার