মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীও কি গেরুয়া পথে, ‘বং কানেকশন’ জোরদার করার চেষ্টা চলছে নাগপুর থেকেও
শোভন চক্রবর্তী
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে আর জল্পনার অবশেষ কিছু নেই। গেরুয়া পথগামীদের সম্ভাব্য তালিকায় এখন কৌতূহল ও জল্পনার শিরোস্থানে স্বয়ং মহাগুরু,--মিঠুন চক্রবর্তী।
এক সময়ে বাংলায় শাসক দল তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ছিলেন মিঠুন। পরে চিটফান্ড
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে আর জল্পনার অবশেষ কিছু নেই। গেরুয়া পথগামীদের সম্ভাব্য তালিকায় এখন কৌতূহল ও জল্পনার শিরোস্থানে স্বয়ং মহাগুরু,--মিঠুন চক্রবর্তী।
এক সময়ে বাংলায় শাসক দল তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ছিলেন মিঠুন। পরে চিটফান্ড বিতর্কে তাঁর নাম জড়ানোয় তিনি সংসদের উচ্চকক্ষ থেকে ইস্তফা দেন। সে ইতিহাস। বরং সূত্রের মতে, সেই মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে এখন নাগপুরে আরএসএস সদর দফতরের সম্পর্ক নিবিড়।
নাগপুরে সঙ্ঘের সদর দফতরে গিয়েওছিলেন মিঠুন। সেখানে গিয়ে সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেগড়েওয়ারের স্মৃতি স্থানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক মনমোহন বৈদ্য বলেছিলেন, “আরএসএস কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। মিঠুন চক্রবর্তী আরএসএসের কর্মপদ্ধতি জানতে চেয়েছিলেন। সঙ্ঘের তাঁর কোনও আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি।”
এ সবের মধ্যেই শনিবার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দেখা গিয়েছে, নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনে মোদী সরকার যে কমিটি গঠন করেছে তাতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীরও নাম রয়েছে।
বিজেপির এক বাংলার নেতা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, এমন নয় যে বিজেপি চাইছে যে এঁরা দলে যোগ দিন। তা করতে চাইলে তো কার্পেট পাতা রয়েছে। কিন্তু দলে যোগ না দিয়েও গেরুয়া শিবিরের জন্য তাঁরা যদি তাঁদের অনুগামী ও অনুরাগীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেন, তাও কম কী!
এ কথা বলতে গিয়ে বিজেপির ওই নেতা একটু হেসে কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতাটি দুটি লাইন বলেন,—“মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করে গমন/হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়/ সেই পথ লক্ষ্য করে স্বীয় কীর্তি ধ্বজা ধরে/ আমরাও হব বরণীয়”। অর্থাৎ সৌরভ, মিঠুনদের গেরুয়া শিবিরের কাছাকাছি দেখে যদি কিছু মানুষকে অনুপ্রাণিত করা যায়।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এ হেন প্রভাব খাটানোর বিষয়টি বাংলায় শাসক দলও করে। যেমন, নুসরৎ জাহান বা মিমি চক্রবর্তী দুটি নিরাপদ আসন থেকে জিতে সাংসদ হয়েছেন। তাঁদের ফ্যান ও সোশাল পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা বহু লক্ষ। ফলে তাঁদের দিয়ে বাংলায় তৃণমূল সরকারের সাফল্য প্রচার করালে তার প্রভাব পড়তে পারে। তা ছাড়া টলি পাড়ার ডজন ডজন শিল্পী ও কলাকুশলীকে প্রায়ই দেখা যায় তৃণমূলের মঞ্চে। শহিদ সমাবেশের মঞ্চও তাঁরা আলো করে থাকেন। ব্যাপারটা সে রকমই।