শেষ আপডেট: 26th June 2023 15:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: পরিবারের এক বউ ধরেছেন কংগ্রেসের হাত। অন্য বউ মুখ্যমন্ত্রীর ঘাসফুলের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে এখন ভাতারের রায় পরিবারের দুই বৌ পঞ্চায়েতে ময়দানে যুদ্ধে নেমেছেন।
ভাতারের আমরুন ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাতনি গ্রামে ২১৮ নম্বর আসনে ২ নম্বর সংসদে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়াই করছেন রায়বাড়ির মেজবৌ বর্ণালী রায়। ওই একই আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করছেন ছোটবৌ মণিমালা রায়। দুপক্ষের এই লড়াই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৯৭৮ সাল থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিল রায় পরিবার। পরে তারা কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেয়। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমরুন ২ 'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্য ছিলেন বর্ণালী রায়। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়ে ঘাস-ফুল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। অন্যদিকে পরিবারের ছোট বউ মণিমালা রায় এবারের গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে তৃণমূল প্রার্থী। তবে দুই দলের হয়ে লড়াইয়ে নেমে দুজনেই জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। একে অপরের প্রতিপক্ষ হলেও পারিবারিক জীবনে তার কোন প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
বর্ণালী রায়ের স্বামী দেবপ্রসন্ন রায় বলেন, '২০১৮ সালে আমারুন ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করার পর সদস্যদের দুর্নীতির ফলে প্রায় দু'বছর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ ছিল। উন্নয়নের কাজও থেমে ছিল।এবারে ভেবেছিলাম বোর্ড গঠন করে তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। কিন্তু স্ত্রী বর্ণালীর নাম তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে ঘোষিত হলেও মনোনয়ন দাখিলের শেষ মুহূর্তে তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী মনিমালা রায়ের নাম ঘোষণা করা হয়। তাই স্ত্রী বর্ণালী রায় কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন।'
অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী দেবদূত রায়ের দাবি, 'দল তাঁর স্ত্রী মণিমালা রায়কে প্রার্থী করেছে। তার বৌদি বর্ণালী রায় টিকিট না পাওয়ার কারণে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজনৈতিক লড়াই হবে পারিবারিক কোন প্রভাব পড়বে না।'