শেষ আপডেট: 19th September 2024 16:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো, শিলিগুড়ি: আরজি কর কাণ্ডের পরে মেডিক্যাল দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। তরুণী ডাক্তারের খুন ধর্ষণের বিচার শুধু নয়, দুর্নীতির রুখতেও আন্দোলন চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও উঠে এল নতুন অভিযোগ। সদ্যোজাত সন্তানের দেহ সৎকার করতে টাকা দিয়েছিল পরিবার। পরে মৃত সেই সন্তানের দেহই পাওয়া গেল জঞ্জালের স্তূপে। এমনই অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। শিলিগুড়ি শহরের খালপাড়ায় জঞ্জালের স্তূপ থেকে এক সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুর দেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জব্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। পুলিশ ওই শিশুর বাবার পরিচয় খুঁজে পায়। পুলিশ শিশুর বাবা রংবাহাদুর ভুজেলকে ডেকে পাঠায়। এরপরেই আসল বিষয়টি সামনে আসে।
রংবাহাদুরকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা ছিলেন। প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পরে স্ত্রীকে তিনি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার তাদের সন্তানের জন্ম হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সে মারা যায়। দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলেও বিপাকে পড়েন রংবাহাদুর। তখন ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে সন্তানের দেহ সৎকারের জন্য হাসপাতালের কর্তব্যরত এক সাফাইকর্মীকে রংবাহাদুর প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি হয়েছিল সদ্যোজাতের বাবা।
ওই সাফাইকর্মীকে ৩ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে রংবাহাদুর সন্তানের দেহ তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু সৎকার না করেও ওই সাফাইকর্মী শিশুর দেহ জঞ্জালে ফেলে দেয়। অবশেষে ওই সদ্যোজাতের দেহ বাবার হাতেই তুলে দিয়েছে পুলিশ। প্রশাসনের সহযোগিতায় মৃত সন্তানের সৎকার করেন রংবাহাদুর।