শেষ আপডেট: 27th October 2021 12:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের। গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সুফিয়ান। সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, এখনই গ্রেফতার করা যাবে না মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্টকে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছিল শেখ সুফিয়ানের। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাগুলির তদন্ত করছে সিবিআই। নন্দীগ্রামে হিংসার ঘটনাগুলির নেপথ্যে সুফিয়ানের নাম উঠে আসায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই গ্রেফতারি এড়াতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সুফিয়ান। আগাম জামিনের আবেদনও করেন তিনি। আজ এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে । শুনানি চলার সময় রাজ্যের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন, তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা সকলেই নন্দীগ্রামে আছেন। তাঁরা হিংসার ঘটনাগুলির তদন্ত করছেন। এই মামলার শুনানি শেষ না হওয়া অবধি সুফিয়ানকে গ্রেফতার করা যাবে না। এই আবেদনে সম্মতি দেয় দুই বিচারপতির বেঞ্চ। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৯ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ততদিন সুফিয়ানকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালে নন্দীগ্রামে হিংসায় জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগে কলকাতা আদালতের একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হয়। যদিও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে ওই মামলাগুলি থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন সুফিয়ান। তবে ৫ মার্চ ওই জনস্বার্থ মামলায় সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ১৫ মার্চ হলদিয়ার আদালতে নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের ৬টি মামলা পুনর্বহাল করার পাশাপাশি, সুফিয়ান, আবু তাহের, শেখ সামাদ-সহ নন্দীগ্রাম আন্দোলনে জড়িত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারি এড়াতে সে সময় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুফিয়ান। তাঁর অভিযোগ ছিল, তদন্ত প্রক্রিয়া না মেনেই ওই নির্দেশ দিয়েছে হলদিয়া আদালত। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'