শেষ আপডেট: 13th October 2024 21:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর দিনাজপুর: বিজয়া সুর চারিদিকে। দেবী কৈলাশে পাড়ি দিয়েছেন। এমন বিষাদের মধ্যেই রায়গঞ্জের খাদিমপুর গ্রামে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। দশমীর দিন দেবীর আগমনে মেতে উঠল উত্তরবঙ্গের গ্রাম। ৫০০ বছর ধরে দেবী এখানে বালাইচণ্ডী রূপে পূজিতা হন দেবী। পুজোর আনন্দে গা ভাসান গোটা গ্রামের মানুষ।
রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুর গ্রাম। এখন আনন্দে মেতে উঠেছেন স্থানীয়রা। যুগ যুগ ধরে এই রীতি মেনে আসছেন তাঁরা। পুজোকে কেন্দ্র করে সোমবার বসবে মেলাও।
খাদিমপুরের দেবী দশভূজা নন। চতুর্ভুজা। হাতে দেবীর অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। তবে সঙ্গে থাকেন কার্তিক, গণেশ, লক্ষী, সরস্বতী।
খাদিমপুরের পুজো কমিটির সম্পাদক গোপাল চন্দ্র বর্মণ বলেন, কতবছর ধরে এই গ্রামে পুজো হচ্ছে তা অনেকেরই জানা নেই। আমাদের কয়েক প্রজন্ম এই পুজো করে আসছেন। শনিবার থেকে পুজো শুরু হয়েছে। রবিবার সারাদিন চলবে। সোম-মঙ্গল মেলা চলবে।
বালাইচণ্ডীর পুজোয় বলিপ্রথা রয়েছে। এখানে পাঠাবলি ও পায়রা বলি দেওয়া হয়। তবে সেই মাংস রান্না করা হলে দেবীকে ভোগ দেওয়া হয় না। এখানে ফলমূল দিয়ে পুজো দেওয়ার রীতি।
গ্রামবাসীরা বালাইচণ্ডী ভীষণই জাগ্রত বলে মনে করেন। এই পুজোর সময় বহু দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন এই পুজোয়।
পুজো কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ বর্মণ বলেন, "ষষ্ঠীর দিন থেকে গ্রামের মানুষ নিরামিষ খান। সোমবার তারা মাছ খাবেন। এই গ্রামে এই একটিমাত্র পুজো হয়। এটি অনুমানিক ৫০০ বছরের পুরোন।চাঁদা তুলে পুজো হয়।"
মন্দিরের দায়িত্বে থাকা সুরেশ বর্মন বলেন, "বালাইচণ্ডীরূপী দেবীর মায়ের পুজোই খাদিমপুরের মানুষদের কাছে আসল দুর্গাপুজো। প্রতিমা নিরঞ্জন হবে আগামী বছর পয়লা আশ্বিন।"