শেষ আপডেট: 21st October 2024 09:00
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, জলপাইগুড়ি: এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, কৈলাশে পাড়ি দিয়েছেন উমা। ঘরে এসেছেন লক্ষ্মী। কিন্তু আগমনীর সুর বাজছে তিস্তাপাড়ে। প্রতিবছর জলপাইগুড়ির রংধালি এলাকার মানুষ এই ভাবেই মেতে ওঠেন একদিনের দুর্গাপুজোয়। সিদ্ধ বাড়ির শতাব্দী প্রাচীন এই দুর্গাপুজোকে সকলে ভাণ্ডানি পুজো বলেই জানেন।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অন্তর্গত পাতকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের রংধামালির মোড়ল পাড়ায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সিদ্ধ বাড়ি। রবিবার সেখানেই একদিনের ভাণ্ডানি পুজোয় মেতে উঠলেন এলাকাবাসী বাসিন্দারা। এদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়। নিয়ম মেনেই পুজো শেষ করতে হয় এখানে। তাই পুজোর আয়োজনে কড়া নজরদারি ছিল রায় পরিবারের সদস্যরা। পুজো ঘিরে এলাকার মানুষের উৎসাহের খামতি ছিল না। এদিন পাতকাটা, রংধামালি এলাকার বাসিন্দারা সকাল সকাল নতুন জামাকাপড় পরে উপস্থিত হয়েছিলেন পুজো মণ্ডপে।
একশ বছর পেরিয়েছে এই পুজোর। লোকমুখে প্রচলিত, যে তৎকালীন জমিদার সিদ্ধিনাথ রায় আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই ভাণ্ডানি পুজোর সূচনা করেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর পরের রবিবার হয় এই দুর্গাপুজো। সেই সময় আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল থাকায় তাঁর করা এই পুজো ওই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। বংশ পরম্পরায় সেই পুজোর ধারা এখন ধরে রেখেছেন বর্তমান প্রজন্ম। যেহেতু এই পুজো সিদ্ধিনাথের শুরু করেন তাই এই পুজোর নাম হয় সিদ্ধ বাড়ির পুজো।
পুরোহিত গৌতম ঘোষাল জানান, এই পুজোর নির্দিষ্ট তিথি নেই। লক্ষ্মীপুজোর পরের রবিবার ভাণ্ডানি পুজো অনুষ্ঠিত হয়। একদিনেই ষষ্ঠী থেকে দশমী সমস্ত তিথির পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবারের সদস্য পবিত্র কুমার রায় বলেন, "১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। দুর্গা পূজো উপলক্ষে কর্মসূত্রে বাইরে থাকা সকলেই বাড়িতে চলে আসে। বাড়ির লোকের পাশাপাশি গ্রামের মানুষ এই পূজোতে সামিল হয়। একদিনের মেলাও হয়। কিন্তু আগে একমাস ধরে মেলা হতো।"