শেষ আপডেট: 26th September 2023 07:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার (Recruitment Corruption Case) ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির হদিশ পেতে মঙ্গলবার সকাল থেকে হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা থানা এলাকার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, দাশনগর থানার আলামোহন দাস রোডে কৌশিক মাজি এবং জগাছার পার্থ সেনের বাড়ি-ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, ওই দুই ব্যক্তির বাড়ি, অফিস, গোডাউন এবং বাড়িতে একই সঙ্গে তল্লাশি অবিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। সূত্রের খবর, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার কর্তা কৌশিক মাজি এূবং পার্থ সেন। পর্ষদের কাছ থেকে কীভাবে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরা পেয়েছিলেন এই বিষয়ে কৌশিক মাজিকে আগেই জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। জেরায় বিস্তর অসঙ্গতি থাকার কারণেই এই তল্লাশি বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, দুই কর্তার বাড়ি থেকে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কীভাবে তাঁদের যোগাযোগ, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, সম্প্রতি নিয়োগ মামলাকে ঘিরে একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সেকারণেই আচমকা সিবিআইয়ের এই তৎপরতা কী না, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, নিয়োগ মামলার দুর্নীতির নেপথ্যে উঠে এসেছে একাধিক নাম ও তথ্য। সেগুলি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেকারণেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে।
গত মঙ্গলবার নিয়োগ মামলার কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেয় সিবিআই। যা দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। প্রতিটি ফাইল পড়ে দেখে বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘৩৫ বছর আগে কেবল ল্যঙ্গুয়েজ ব্যবহার হত। সেই ধারাই চলছে। শুধু কপি করেছে। দাঁড়ি কমা মিলিয়ে লিখে দিয়েছে সিবিআই! একজনের বক্তব্য আরেকজনের মুখে বসানো হয়েছে!” অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারীদের আঁতাত নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ভবনের গেটে হঠাৎ শুভেন্দু! ঢুকতে দিল না পুলিশ, বাইরে বিক্ষোভ বিরোধী দলনেতার