শেষ আপডেট: 2nd March 2025 20:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুসলিমের হাতের তৈরি রাসচক্রে রাসমেলার সূচনা হয় কোচবিহারে। মদনমোহন দেবের এই রাসচক্র তৈরি হত আলতাফ মিঞার হাতে। একাধিক কঠোর নিয়ম ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে এই কাজ তিনি করতেন। পরে তাঁর পরিবারের লোকজনও এই কাজে যুক্ত হন। শনিবার দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত হন আলতাফ মিঞা। কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকের ছায়া সর্বস্তরে।
বংশপরম্পরা ধরে রাসচক্র তৈরি করতেন আলতাফ মিয়ার পরিবার। আলতাফের বাবা প্রয়াত হওয়ার পর তিনিই মদনমোহন দেবের রাসচক্রের প্রধান কারিগর ছিলেন। তৃতীয় প্রজন্মের রাসচক্রের কারিগর। শনিবার রাত আটটা নাগাদ তাঁর মৃত্যুর খবর সকলকে জানা পরিবারের সদস্যরা। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে রাসচক্র তৈরি করার পর এই প্রথম শেষ দুবছর একাজ করতে পারেননি। পেটের নানা সমস্যা ছিল।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'কোচবিহারের বিখ্যাত রাসমেলার রাসচক্রের প্রস্তুতকারক আলতাফ হোসেনের প্রয়াণে আমি মর্মাহত। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। বাংলার ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক-বাহক ছিলেন তিনি। শোকসন্তপ্ত পরিবারকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আমি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি শেষকৃত্যে পরিবারকে সবধরনের সাহায্য করার জন্য।'
এদিকে রবিবার অর্থাৎ আজ সকালে তাঁর বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে যান দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য কুণাল ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, আব্দুল কাদের হক, পার্থপ্রতিম রায়-সহ অন্যান্যরা। এদিন আলতাফ মিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শেষকৃত্যের জন্য।