শেষ আপডেট: 3rd December 2023 16:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো, রাজগঞ্জ: সরকারি কমিউনিটি হলে রমরম করে চলছে সিবিএসই বোর্ডের স্কুল। যার কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে তিস্তা পাড়ের সেই স্কুল ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের তিস্তা পাড়ের মান্তাদারি গ্রামপঞ্চায়েত। সেই গ্রামেই দীর্ঘদিন আগে ১৮ নং টাকিমারি চর এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেই কমিউনিটি হল দখল করে বিনা অনুমতিতে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চালু করা হয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই রাজগঞ্জে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সিবিএসই বোর্ড অনুমোদিত সারদা শিশু তীর্থ এই মর্মে স্কুলটিতে সাইন বোর্ড লাগানো রয়েছে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে মাসে মাসে বেশ মোটা মাইনেও নেওয়া হয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে বিনা অনুমতিতে এই স্কুল চলছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলটির মালিক হানিফ চৌধুরি। নিউ জলপাইগুড়ি থানার গেট বাজার এলাকার বাসিন্দা তিনি। বছর ৩০-এর এই যুবকই স্কুলটি পরিচালনা করেন। স্কুলটি সিবিএসই বোর্ডের অনুমোদিত বলে দাবি হানিফের। যদিও সেই দাবির সপক্ষে তিনি কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
সারদা শিশু তীর্থ নামের ওই স্কুলে রয়েছেন ৪-৫ জন শিক্ষিকা। স্থানীয় অনেক শিশুই স্কুলটিতে পড়াশোনা করে। পড়ুয়াদের ভর্তি হতে প্রায় ২ হাজার টাকা দিতে হয়। এরপর প্রতি মাসে দিতে হয় ৫০০ টাকা। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুলটি বেশ রমরমিয়ে চলছে। এলাকাবাসীর দাবি, স্কুলটি সরকারি ভবন দখল করে চালু হয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা মালিক হানিফ চৌধুরি। স্থানীয় প্রধানের অনুমতি নিয়ে এই স্কুল চলছে বলে দাবি হানিফের। তবে শুধু রাজগঞ্জই নয়, বিভিন্ন এলাকায় হানিফের আরও ভুয়ো স্কুল রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে বিষয়টি আগে জানতেন না বলে জানিয়েছেন মান্তাদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান অর্চনা রায়। তিনি বলেন, “সরকারি জায়গা দখল করে বেসরকারি স্কুল চালানো সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যদিও হানিফ চৌধুরির সঙ্গে টেলিফোনে বার কয়েক যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে, জেলাশাসক শামা পারভিনের নজরেও বিষয়টি এসেছে। এবিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।