শেষ আপডেট: 17th September 2024 12:19
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: ডাক্তার সুশান্ত রায় ও তার পুত্র সৌত্রিক রায়ের সন্ধান চেয়ে পোস্টার পড়ল জলপাইগুড়িতে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে দুইজনের ছবি দিয়ে পোস্টার পড়ে সুশান্ত রায়ের বাড়ির সামনে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে বেশ প্রভাবশালী বলে পরিচিত ‘উত্তরবঙ্গ লবি’। সুশান্ত রায় এই প্রভাবশালী চিকিৎসকদের মধ্যে একজন বলে অভিযোগ। ৯ অগস্ট আরজিকরের সেমিনার রুম থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর অর্ধনগ্ন দেব উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রাই নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজিকরের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও। সুশান্ত রায় এই সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল বলে জানা গেছে।
তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির পরের পর অভিযোগ সামনে আসার পরেই ডাক্তার সুশান্ত রায়কে বহিষ্কার করে আইএমএর রাজ্য শাখা। পরে তাঁকে বহিষ্কার করে আইএমএর জলপাইগুড়ি শাখাও। পাশাপাশি তাঁর ছেলে যুগ্ম-সম্পাদক সৌত্রিক রায় ও সহ-সভাপতি অভিক দে'কে সাসপেন্ড করার জন্য আইএমএ কেন্দ্রীয় কমিটিকে চিঠি পাঠায় জলপাইগুড়ি আইএমএ ৷
অভিযোগ, ডা: সুশান্ত কুমার রায়ের পরামর্শেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভিক দে'র ঘনিষ্ঠ সিন্ডিকেট রাজ চালাতেন। রমরমা হয়েছিল থ্রেট কালচারেরও। স্বাস্থ্য দফতর বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভিক দে-কে সাসপেন্ড করেছে ৷ সুশান্তকুমার রায় নিজের স্বার্থের জন্য আইএমএকে ব্যবহার করেছে বলে বেঙ্গল ব্রাঞ্চের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে ৷
আরজি কর কাণ্ডে চাপে ডাক্তার সুশান্ত রায় ও তাঁর ছেলে সৌত্রিক রায়। তাঁদের জলপাইগুড়ির পড়শিরা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় এলাকার প্রায় দুশো মহিলা সুশান্ত রায়ের বাড়ির সামনে এসে নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন। আজ সকালে উঠে তাঁরা দেখতে পান, বাড়ির পাঁচিলে বাবা-ছেলের ছবি দিয়ে তাঁদের দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তাদের সন্ধান চাই বলেও পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে।