শেষ আপডেট: 29th July 2024 19:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: চাঁদি ফাটা রোদ। অনেকক্ষণ রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি পুলকার। পাঁচ পড়ুয়া সেখানে বসে গরমে হাঁসফাঁস করছে। গাড়ির চালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের অভিযোগ উঠল পুলকার চালকের বিরুদ্ধে। সোমবার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ধূপগুড়ির গয়েরকাটা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা একটি বেসরকারি মাধ্যম স্কুলের শিশু পড়ুয়াদের নিয়ে বাজারের দিকে আসছিল একটি পুলকার। মাঝ রাস্তায় সেই পুলকারের পেট্রোল শেষ হয়ে যায়। তাই ভেতরে পড়ুয়াদের বসিয়ে গাড়ি কাচের জানলা ও দরজা লক করে চলে যান পেট্রোল আনতে চলে যান বলে অভিযোগ।
একদিকে চাঁদি ফাটা গরমে বদ্ধ অবস্থায় গাড়ির ভেতরে আটকে শিশুরা। প্রায় আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরেই এমন অবস্থায় ছিল তারা। পড়ুয়ার ক্রমে নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল তাদের। এমনটাই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
শিশুদের করুণ অবস্থা দেখে ছুটে আসেন আশেপাশের ব্যবসায়ীরা।কোনওমতে গাড়ির দরজা খুলে শিশুদেরকে পাশের একটি দোকানে বসানো হয়। তারও প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর সেই গাড়িচালক আসেন গাড়ি কাছে।
চালক কাছে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পারেন ব্যবসায়ীরা। শুধু তেল শেষ হওয়া নয় সেই গাড়িটি স্টার্ট সঠিক ভাবে নিচ্ছিল না। বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দীপু রায় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চালক গাড়ির মধ্যে শিশুদের আটকে রেখে তেল আনতে যাওয়ায় রীতিমত গরমে কষ্ট হচ্ছিলো শিশুদের। গাড়ির ভেতরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল প্রচন্ড গরম ছিল আজ ধূপগুড়ি তে। যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। অবস্থা খারাপ হতে দেখেই তারা গাড়ি থেকে নামিয়ে দোকানে বসান এবং ঠান্ডা পানীয় খাওয়ান শিশুদের। যদিও অভিযোগ মানতে অস্বীকার কার করে সেই পুল কারের চালক।
আর এই ঘটনা থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এইভাবে আটকে থেকেই যদি কোনও শিশুর দুর্ঘটনা ঘটতো তাহলে তার দায় কার হত? কোথায় প্রশাসনের নজরদারি? এই ধরণের বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।