শেষ আপডেট: 29th July 2024 13:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো, কোচবিহার: গাছের নীচে পিচ গলানোর মেশিন বসানো হয়েছে। জ্বলছে দাউ দাউ আগুন। গাছের উপর সংসার নিয়ে রয়েছে শামুকখোলের ঝাঁক। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অধিকর্তা অশোক চৌধুরীর কাছে জানতে পেরেই সাইকেল নিয়ে ছুটলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। গাছের নীচ থেকে দ্রুত পিচ গলানোর মেশিন সরানোর নির্দেশ দিলেন। পাখিদের সঙ্গেই স্বস্তি পেলেন পরিবেশবিদরাও।
শুক্রবার সকালে ছবি তুলতে বেরিয়ে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অধিকর্তা অশোক চৌধুরীর নজরে পড়ে বিষয়টি। তিনি দেখতে পান গাছের নীচে রাখা মেশিনে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। গলছে পিচ। ওখানে বেশ কয়েকটি গাছে বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে বাস শামুকখোল পাখিদের। অশোকবাবু জানান, বিষয়টি দেখেই তিনি প্রথমে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের বারণ করেন। কিন্তু তাঁরা কথা কানে তোলেননি। এরপরেই পুলিশসুপারের কানে তোলেন তিনি।
খবর শুনেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিজ্ঞানীকে সঙ্গে নিয়ে সাইকেলেই ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আইটিআই মোড়ে যান কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। এলাকায় গিয়ে দেখেন, যে গাছের নীচে পিচ গলানোর মেশিন রেখে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল, তার একেবারে উপরের কয়েকটি শাখায় একগুচ্ছ পাখির বাসা। শামুকখোল পাখিদের সেই বাসাগুলোয় রয়েছে বেশ কয়েকটি ছানাও। সঙ্গে সঙ্গে পিচ গলানোর মেশিন গাছের নীচ থেকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।
এই ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শহরের পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁরা জানান, ওই এলাকার বড় গাছগুলিতে প্রচুর শামুকখোল পাখির বাস। বন দফতরেররও উচিৎ এ দিকে নজর রাখা। পূর্ত দফতরের কোচবিহার জেলার নির্বাহী বাস্তুকার মৃন্ময় দেবনাথ জানান, বিষয়টি তিনিও খোঁজ নিয়ে দেখবেন।