শেষ আপডেট: 22nd September 2023 11:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বাঁকুড়া: বৌদির পরকীয়া সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় খুন হতে হয়েছিল যুবককে। দেহ ফেলা হয়েছিল নন্দকুমারের কাছে এক নয়ানজুলিতে (nayanjuli)। বৃহস্পতিবার পুলিশ (police) সেখানে তন্নতন্ন করে টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে খোঁজ চালানোর পরেও মিলল না দেহ। পাওয়া গিয়েছে শুধু একটা জামাপ্যান্ট। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে নয়ানজুলি থেকে কচুরিপানা টানতে গিয়ে সেই জামাপ্যান্টটা স্থানীয় যুবকদের হাতে উঠে আসে। বাঁকুড়ার সারেঙ্গার ওই যুবকের দেহ আদৌ আর মিলবে কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
পুলিশের আশঙ্কা, ওই নয়ানজুলিটি বিশাল। আর তাতে কচুরিপানা ভর্তি। সঙ্গে সেখানে বিশাল বিশাল আকারের গোসাপও থাকে। তাই ওই যুবকের দেহটি গোসাপগুলি ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়ে নিয়েছে কিনা, সেটাও প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেছেন, ‘দেহটির খোঁজে দিনভর তল্লাশি চালানো হলেও কিছুই পাওয়া যায়নি।’ এদিকে ওই যুবক বাঁকুড়ার সারেঙ্গার বাসিন্দা হলেও যেখানে তাঁর দেহ ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই নয়ানজুলিটি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে। তাই ঘটনার তদন্তে নেমেছে তমলুক মহকুমা পুলিশও।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় মাস আগে বাঁকুড়ার সারেঙ্গার যুবক অসিত প্রতিহার (৩৬) নামের ওই যুবক খুন হওয়ার অভিযোগ ওঠে। বৌদির পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি তোলায় তাঁকে খুন হতে হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দিনকয়েক আগেই অভিযুক্ত বৌদি গোলাপ প্রতিহার ও তাঁর প্রেমিক গোপাল জানাকে গ্রেফতার করে সারেঙ্গা থানার পুলিশ। জেরায় তাঁরা জানায়, খুন করে ওই যুবককে নন্দকুমারের একটি বিরাট নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই নয়ানজুলি থেকে ৩০০ মিটার দূরে গোপালের বাড়ি।
সূত্রের খবর, গোপালকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েই অসিতের মৃতদেহ খোঁজার কাজ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে তল্লাশি চালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দা সিআরপিএফের এসআই পবিত্র গোস্বামী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ভাস্কর ঘোড়ুই-সহ অনেকে সেখানে হাজির হয়েছিলেন। ভাস্করবাবু বলেন, ‘গ্রামে গোপালের স্ত্রী রয়েছেন। এমনকী তাঁর ছেলে ও মেয়ের রয়েছে। তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করেন।’
এদিকে কীর্তনশিল্পী হিসেবে গোপাল বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত। সেই সূত্রে গড়বেতার আমলাশুলি গ্রামে ফের একটি বিয়ে করেছিল গোপাল। তবে দু’টি বিয়ের পরও সারেঙ্গার বাসিন্দা গোলাপীর সঙ্গে সে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যা জানতে পেরে গিয়েছিল গোলাপের দেওর অসিত প্রতিহার। আর সেই কারণেই তাঁকে খুন করে ওই নয়ানজুলিতে ফেলা হয়।
গোপালের সঙ্গে গোলাপীর প্রেম, দেওর-কাঁটা সরাতে খুন করল বৌদি!