শেষ আপডেট: 14th July 2023 06:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে ঢোকার মুখে পুলিশ (Police) আটকে দিল বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিকে (Nausad Siddiqui)। শুক্রবার নিউটাউনের হাতিশালার কাছে তাঁর গতিরোধ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। পুলিশের পাল্টা দাবি ভাঙরে (Bhangar) ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই ওঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার চালতাবেড়িয়ায় আইএসএফের ঘাঁটিতে দিনে দুপুরে বোমা ফেটে জখম হন আইএসএফের চার কর্মী। এই ঘটনার পরেই এদিন ভাঙড়ে যাচ্ছিলেন নওসাদ। ভাঙড়ে ঢোকার আগেই হাতিশালায় তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। এখানে পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নওসাদ। তিনি বলতে থাকেন, ‘‘আমি ভাঙড়ের জনপ্রতিনিধি। আমার পরিচয়পত্র রয়েছে। তা হলে কেন আমাকে যেতে দেওয়া হবে না?’’ পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ওখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই কাউকেই যেতে দেওয়া যাবে না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের নওসাদ বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরো ভাঙড়ে তল্লাশি চালানো হোক। তৃণমূলের নেতারা ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ আমি বিধায়ক, আর আমায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি শান্তির বার্তা দিতে যাচ্ছি।’’ পুলিশ তাঁকে ভাঙড়ে ঢুকতে না দেওয়া হাতিশালায় ঘটনাস্থলেই তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই তেতে উঠেছে ভাঙড়। সংঘর্ষ, বোমাবাজি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। ভোটপর্বে প্রাণহানি হয়েছে। গণনাপর্বেও অশান্তি জারি। মঙ্গলবার গণনার দিনও মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন আইএসএফ কর্মী। সেই ঘটনার সিবিআই তদন্তও চেয়েছেন নওসাদ সিদ্দিকি। ভোটপর্ব মিটলেও ভাঙড়ের অশান্তি কিন্তু জারি রয়েছে এখনও।
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর জখম যাত্রী! বৈদ্যবাটিতে বিক্ষোভ স্থানীয়দের, ব্যাহত ট্রেন চলাচল