শেষ আপডেট: 22nd August 2023 08:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুরে (Jadavpur) প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর র্যাগিং অন্যতম কারণ ছিল বলে তদন্তের পর মনে করছে পুলিশ (Police)। এ ব্যাপারে আলিপুর আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে অ্যান্টি র্যাগিং আইনের ৪ নম্বর ধারা (Section 4 of the Anti-Ragging Act) প্রয়োগ করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ।
বাংলায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জমানায় র্যাগিং রুখতে আইন পাশ হয়েছিল( THE WEST BENGAL PROHIBITION OF RAGGING IN EDUCATIONAL INSTITUTIONS ACT, 2000)। ওই আইনে বলা হয়েছে, র্যাগিং এমন একটা ব্যাপার যা কোনও ছাত্রের শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করে বা ক্ষতি করতে পারে, কিংবা কাউকে লজ্জায় বা অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।
কাউকে টিপ্পনি করা গালমন্দ করা, কারও সঙ্গে বাজে কৌতুক করা, বা কাউকে দিয়ে এমন কিছু জোর করে করানো যা সে করতে চায় না—এ সবই র্যাগিংয়ের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, তার ক্যাম্পাসে বা ছাত্রাবাসে কোনও ছাত্রের উপর র্যাগিং করা যাবে না।
এখন কৌতূহলের বিষয় হল, আইনের ৪ নম্বর ধারায় কী বলা হয়েছে?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ওই আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে—
র্যাগিংয়ের অভিযোগে কেউ দোষী প্রমাণিত হতে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা দুটোই হতে পারে।
র্যাগিংয়ের অভিযোগে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে ওই ছাত্রকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হবে। আরও কখনও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সে ভর্তি হতে পারবে না।
যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তা ছাড়া এদিন আবার অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু নামে এক ছাত্রের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তিনি নাকি কাশ্মীরে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন। এই আলুর বিরুদ্ধে যাদবপুরে পোস্টারও পড়েছিল। তবে তাঁর দাবি, ঘটনার দিন তিনি হস্টেলে যাননি। কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: 'আমাকে বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটেই পাওয়া যাবে', দীর্ঘ পোস্ট যাদবপুর-কাণ্ডে নাম জড়ানো অরিত্রর