শেষ আপডেট: 27th April 2023 07:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এইচডিইউ। প্রথম থেকেই কোনও আয়া নেই (female nurse was not present) এই ওয়ার্ডে। রোগীদের শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে নিয়োগ করা হয়েছিল পুরুষ কর্মবন্ধু (male help)। এখন দেখা যাচ্ছে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য কোনও মহিলা না থাকায় রীতিমতো সমস্যায় এইচডিইউতে ভর্তি থাকা রোগিণীদের (patient) অনেকেই।
এই যেমন কাটোয়া শহরের বাসিন্দা কাজি মঞ্জুয়ারা বেগম। ২২ এপ্রিল রাতের দিকে তীব্র শ্বাসকষ্ট হওয়ায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এমারজেন্সির চিকিৎসক তাঁকে এইচডিইউতে ভর্তি করে নেন। তাঁর আত্মীয় সাবিনা ইয়াসমিন দাবি করেন, ওয়ার্ডে সাহায্য করার মতো কোনও আয়া না পাওয়ায় ২৪ ঘণ্টা শৌচাগারেই যাননি কাজি মঞ্জুয়ারা বেগম। কারণ এই মুহূর্তে তাঁর যেমন শারীরিক অবস্থা, তাতে একা চলাফেরা করা তাঁর পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। আবার পুরুষ কর্মবন্ধুদের সাহায্য নিতেও তাঁর অনীহা রয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা শৌচাগারে না যাওয়ায় তাঁর শরীর আরও খারাপ হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে নিয়ম ভেঙেই ওই রোগিণীর পরিবারের একজন মহিলা সদস্যকে ওয়ার্ডে তাঁর কাছাকাছি থাকার অনুমতি দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ভাস্করজ্যোতি বর্মন বলেন, “এই অভিযোগটি খুবই যুক্তিসংগত। তবে রোগীদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই পুরুষ কর্মবন্ধু নিয়োগ করা হয়েছিল। তাই বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আপাতত ওই রোগিণীর শারীরিক অবস্থা চিন্তা করে নিয়ম ভেঙেই ওই মহিলার পরিবারের এক মহিলা সদস্যকে তাঁর দেখভালের জন্য ওয়ার্ডে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
২০১৮ সালের অগস্ট মাসে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এইচডিইউ পরিষেবা চালু হয়। শুরু থেকেই এইচডিইউতে ভর্তি থাকা রোগীদের শৌচাগার যাওয়া বা অন্য কাজে পুরুষ কর্মবন্ধুরা সাহায্য করে আসছেন। রোগিণীদেরও অনীহা থাকলেও তাঁদেরই সাহায্য নিতে হয়। এরজন্য অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন আগেও। কাজি মঞ্জুয়ারা বেগমের মতো অসহায় অবস্থা যেন কারও না হয় তা দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।