শেষ আপডেট: 24th August 2023 17:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টানা ৩ বছর পড়েছেন সরকারি স্কুলে। উচ্চ মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা রাজ্যের সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। সেই মুশারফ হোসেন (Pandua Musharraf Hossain) আজ শুধু বাংলা নয়, সারা দেশের গর্ব। চাঁদ জয় করেছে যে ইসরোর বিজ্ঞানীদের দল, তারই সিনিয়র সাইন্টিস্ট পদে রয়েছেন মুশারফ। শুধু তাই নয়, চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রমের তিনটি পে-লোডের মধ্যে একটির সায়েন্স ডিরেক্টর ছিলেন বাংলার এই বিজ্ঞানী (India moon mission)।
মুশারফ আদতে বীরভূমের মুরারইয়ের বিলাসপুর গ্রামের বাসিন্দা। যদিও পাণ্ডুয়াতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন তিনি। সেখানকার শশীভূষণ স্কুলে পড়াশোনা করেছেন নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত (১৯৮৯-১৯৯২)। উচ্চ মাধ্যমিকের পর ভর্তি হন বীরভূমের সাঁইথিয়ার অভেদানন্দ কলেজে। তারপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেখান থেকে দিল্লি আইআইটি হয়ে যোগদান করেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় (ISRO)। গত ১৭ বছর ধরে সেখানে সিনিয়র সায়েন্টিস্ট পদে কর্মরত তিনি।
মুশারফ জানিয়েছেন, 'নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা ছিল শেষ ত্রিশ মিনিট। ব্যার্থতা থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় তা শেখাল চন্দ্রযান-৩। অনেক হার্ড ওয়ার্ক করতে হয়েছে। অনেক কিছুই হয়তো আমাদের জানা ছিল। চাঁদের আবহাওয়া, অরবিটার, প্রকৃতি। তবুও প্র্যাকটিক্যালের সঙ্গে ক্যাকুলেশানের কিছুটা ফারাক থেকেই যায়।সেটা খুব সামান্য হলে সমস্যা কম হয়।ফারাক সামান্যই ছিল তাই বিক্রমের ল্যান্ডিং এত ভালভাবে হয়েছে।'
শশীভূষন সাহা স্কুলের সভাপতি সঞ্জীব ঘোষ বলেন, 'আমরা গর্বিত আমাদের স্কুলের একজন প্রাক্তনী ভারতের হয়ে ইতিহাস গড়া চন্দ্রযান মিশনের অন্যতম সদস্য।'
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মলয় ঘোষ জানিয়েছেন, 'আমাদের ভাল লাগছে, আমরা গর্বিত। বলা যায়, মুশারফের জন্য আমাদের স্কুলের একটা নাম হল।'
চাঁদের পরে রবির দেশে, সূর্য-অভিযানে যাবে ইসরো, উঁকি দেবে শুক্রের ঘরেও