শেষ আপডেট: 21st September 2023 09:58
খাটে বসে কাঁদছে এক বছরের শিশু, ছাগল বাঁধার দড়ি দিয়ে মাকে মেরে পালিয়ে গেছে বাবা
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: স্বামীর অত্যাচারে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে এসে বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন বধূ। এক বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে। ছোট্ট শিশুর সামনেই মাকে মেরে খাটের নীচে রেখে বাবা পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ। একবছরের সন্তানের প্রবল কান্না শুনে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। তারপরেই বিষয়টি জানাজানি হয়। শোরগোল পড়ে যায় পান্ডুয়ার (Pandua Murder Case) জায়ের দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের কামতাই মালঞ্চপাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালঞ্চপাড়ার উরমিতা বাউল দাসের সঙ্গে দু’বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বলাগড়ের ঝেরো গোপালপুরের সৌমেন বাউল দাসের। তাদের একটি এক বছর বয়সের কন্যা সন্তান আছে। উরমিতার বাবা উত্তম বাউল দাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর অত্যাচার করত জামাই (Pandua Murder Case)। নেশা করে এসে মারধর করত। পেটে লাথি মেরে একবার সন্তান নষ্ট করে দিয়েছিল। তারপর থেকে বাপের বাড়িতেই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন উরমিতা।জামাই মাঝেমধ্যে আসত।
তিনি বলেন, ‘‘বুধবার পান্ডুয়ার গ্রামে মনসা পুজোর অনুষ্ঠান দেখতে আসে সৌমেন। রাতে আমার ঘরে ঢুকে ছাগল বাঁধার দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে আমার মেয়ের দেহ খাটের তলায় ঢুকিয়ে দিয়ে দরজায় শিকল টেনে পালিয়ে যায়। মেয়ে বলেছিল, আর শ্বশুরবাড়ি যাবে না ।আমরাও মেয়েকে যেতে দিতে চাইনি। সেই কারণে খুন করে দিল।’’
খবর পেয়ে তদন্তে যায় পান্ডুয়া থানার পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (ক্রাইম) দেবীদয়াল কুণ্ডু, পান্ডুয়া থানার ওসি প্রশান্ত ঘোষ ঘটনাস্থলে যান। পান্ডুয়ার বিডিও স্বাতী চক্রবর্তী থানায় গিয়ে সুরতহাল করেন। ডিএসপি বলেন, ‘‘গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় খাটের তলা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে। তবে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’
আরও পড়ুন: দেশের সেরা পর্যটন গ্রাম বাংলার কিরীটেশ্বরী, দুবাই থেকেই সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
