শেষ আপডেট: 9th July 2023 13:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলা। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোটের দিন পর্যন্ত একই ধারা বজায় ছিল রাজ্যে। ভোট মিটলেও থামেনি হিংসার ঘটনা। রবিবারও সকাল থেকে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে। গুলি, বোমাবাজির ঘটনা যেমন বেড়েছে, তেমন পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও! এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক কতজন মারা গেছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiv Sinha) জানালেন, ১০ জনের মৃত্যু (Death Toll) হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) সূত্রে খবর, পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান কমিশনে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। তবে কোথায়, কতজন, কীভাবে মারা গিয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কমিশন। হয়তো পরে বিবৃতি দিয়ে সেই বিষয়টা স্পষ্ট করবে তারা।
রাজীব সিনহার এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিরোধীদের কথায়, কমিশন ও রাজ্য সরকার ভোট-হিংসায় বলির সংখ্যাতেও জল মেশাচ্ছে। কেউ কেউ আবার এই পরিসংখ্যানকে কোভিডের সময়ের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁদের দাবি, করোনার সময় যেমন রাজ্যের মুখ্যসচিব মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছিলেন, এখন ঠিক সেটাই করছেন রাজীব সিনহা।
মনোনয়ন পর্ব থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত রাজ্যে ভোট-হিংসা ও তাতে মৃত্যুর ঘটনার যা খবর মিলেছে, তাতে সংখ্যাটা ৩০-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে। অসমর্থিত এক সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। ভোটের দিনের হিংসায় মৃতের সংখ্যা ১৬। যদিও কমিশনের হিসেব সেই তুলনায় অনেকটাই কম।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, নিহতের সংখ্যা নিয়ে চিরকালই সরকার ও বিরোধীদের মতান্তর থেকেছে। এটা কোনও নতুন নয়। বাম আমল হোক বা তৃণমূল জমানা বরাবরই একই ছবি দেখা গেছে।
আনিস খানের আত্মীয়দের বাড়ি ভাঙচুর, মারধর! ভোট মিটতেই হামলার অভিযোগ