শেষ আপডেট: 30th December 2021 09:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের (india) হাতে রাফাল (rafale) চলে আসায় পাকিস্তান (pakistan)কি উদ্বিগ্ন, শঙ্কিত (anxiety) (fear) ? তা না হলে তারা কেন নয়াদিল্লির হাতে একে একে রাফাল আসা শুরু হতেই শীত, গ্রীষ্ম-সব মরসুমের বন্ধু চিনের (china) শরণাপন্ন হবে? পাকিস্তানি অভ্য়ন্তরীণমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জানিয়েছেন, ভারতের ফ্রান্স থেকে রাফাল কেনার পর পাকিস্তানও ২৫টি একসঙ্গে নানা ভূমিকা পালন করা চিনা জে-১০সি যুদ্ধবিমানের পুরো স্কোয়াড্রন (squadron) জোগাড় করেছে। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস অনুষ্ঠানে চিন থেকে পাওয়া ফাইটার জেটের প্রদর্শনী করা হবে বলে রাওয়ালপিন্ডিতে জানিয়েছেন রশিদ। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, চিনই পাকিস্তানের বিপন্নতা দেখে নিজেদের সবচেয়ে ভরসাযোগ্য যুদ্ধবিমান জে-১০সি সরবরাহ করেছে। ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে ভারত প্রায় ৫ বছর আগে ৫৯ হাজার কোটি টাকায় ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি কররে ফরাসি সরকারের সঙ্গে, যা নিয়ে আলোড়ন ঘটে যায় ভারতের রাজনীতিতে। গত বছর পাকিস্তান-চিন যৌথ মহড়ায় পাকিস্তানি সমর বিশেষজ্ঞরা প্রথম জে-১০সি যুদ্ধবিমান সামনাসামনি ভাল করে দেখার সুযোগ পান। পাকিস্তানে হওয়া মহড়া চলেছিল প্রায় ২০ দিন। চিন সেখানে জে-১০সি, জে-১১বি জেট, কেজে-৫০০ আর্লি ওয়ার্নিং এয়ারক্র্যাফট, ওয়াই-৮ ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার এয়ারক্র্যাফ্ট পাঠিয়েছিল। পাকিস্তান পাঠিয়েছিল জেএফ-১৭, মিরাজ-থ্রি ফাইটার জেট। পাকিস্তানের অস্ত্রভাণ্ডারে আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আছে,যা যথেষ্ট রাফালের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। কিন্তু ভারত ফ্রান্সের রাফাল কেনার পর থেকেই পাকিস্তান বহুমুখী উদ্দেশ্য পূরণে সক্ষম সব পরিস্থিতিতে কাজে লাগার মতো নতুন জেটবিমান কেনার কথা ভাবা শুরু করে।