শেষ আপডেট: 27th June 2023 07:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানি নাগরিক ঢোকানোর চেষ্টা চলছে! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুনে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কিছুদিন আগেই ব্যারাকপুরের সেনা শিবিরে দুই বহিরাগতকে ধরা হয়েছিল যাদের সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ ছিল বলে দাবি করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) আইএসআইয়ের চর (ISI conspiracy) ঢুকে পড়ছে এই অভিযোগ তুলে বিষ্ণু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলে তা বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে যায়। সমস্ত অভিযোগ শুনে দ্রুত সিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।
বিচারপতি মান্থা বলেন, সিআইডি যেমন তদন্ত করছে তেমন চলবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকেও বিষয়টা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, “দেশের নিরাপত্তায় সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তদন্ত এজেন্সিদের সহযোগিতা করতে হবে সেনাবাহিনীকে। সিআইডি যে তদন্ত করেছে তাতে অভিযোগের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।”
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ভারতীয় সেনায় লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, এমনই মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়। অভিযোগ, এ রাজ্যের পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশ, সেনাবাহিনীতে কর্মরত আধিকারিক এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যুক্ত আছেন এই দুর্নীতিতে। পুলিশ সহ প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক জাল আবাসিক শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন মামলাকারী। তাঁর দাবি, থানা ও পুরসভার মাধ্যমে এই দুর্নীতি চলছে। দুই পাকিস্তানি নাগরিক এই মুহূর্তে ব্যারাকপুরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
কালীঘাটের কাকুর স্ত্রী প্রয়াত, হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির দিন ছিল। তাতে রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী বলেছেন, “অভিযোগের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। আমরা যা পেয়েছি তাতে অভিযোগ গুরুতর। যথেষ্ট সিরিয়াস ইস্যু। সিআইডি বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যে সেনার তরফে অভিযুক্ত একজনকে ধরা হয়েছে। কিছু পদক্ষেপ করেছে সেনা। কিন্তু গ্রেফতার না আটক সেটা বলতে পারব না।” আইনজীবীর আরও দাবি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম সহ অনেক রাজ্যের যোগ আছে এখানে। একটি ছাপাখানাও চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে জাল ও ভুয়ো শংসাপত্র ও অন্যান্যনথি ছাপানোর কাজ হয়েছিল।
মামলার অভিযোগ সবটা শুনে বিচারপতি মান্থা বলেছেন, ইস্টার্ন কমান্ড-এর জিওসি (General Officer Commanding) এবং মিলিটারি পুলিশকেও মামলার তদন্ত করতে হবে। সেনা ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলো একযোগে তদন্ত করবে। সিবিআই ও সিআইডির মধ্যে যেন কোনওরকম সংঘাত না হয় সেদিকটা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। সিবিআই প্রাথমিক অনুসন্ধান করবে। সেনা প্রয়োজনে রিপোর্ট দিতে পারে।তদন্ত প্রক্রিয়া কতদূর এগোল তা পরবর্তী শুনানিতে সিবিআই ও সিআইডিকে জানাতে হবে। আগামী ২৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।