শেষ আপডেট: 21st September 2023 12:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (recruitment case) প্রতিদিনই নতুন নতুন দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে। ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ আগেও উঠেছিল। এছাড়া পাশ না করেও রাজ্য স্কুলের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার ঘটনায় ২৬৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও সেই নির্দেশে শীর্ষ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে আরও ৯৬ জনের কথা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, যাঁরা টেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরেও চাকরি পেয়েছিলেন।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতার সিনহার এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করার মামলায় শিটের প্রতিলিপি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এদিন আদালতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কে পাশ করেছে, কে কত নম্বর পেয়েছে, কীভাবে বিকৃত করা হয়েছে, পর্ষদের রিপোর্টে তো সেগুলো স্পষ্ট নয়।” এমনকী পর্ষদের তরফে জমা দেওয়া ডিজিটাইজড রিপোর্টও এডিট করা সম্ভব বলে এদিন মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালতে তিনি বলেন, “আসল ওএমআর শিট না থাকাতেই সমস্যার সূত্রপাত।”
আদালত সূত্রের খবর, এদিন প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। ইডির তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলে পর্ষদ। পর্ষদের আইনজীবীর বক্তব্য, “ইডির রিপোর্টে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। শুধু সন্দেহভাজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে কাউকে অপরাধী বানানো যায় না।”
আদালতের নির্দেশে গত বছর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নামে সিবিআই। সেই সূত্রেই সামনে আসে ওএমআর (OMR Sheet) শিট বিকৃত করার বিষয়টি। আদালতে সিবিআই জানায়, মোট ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতি করতে গিয়ে ৯ হাজার ওএমআর (OMR Sheet) শিট বিকৃত করা হয়েছে। পরে ওই মামলাতে আদালতের নির্দেশে তদন্তে যুক্ত করা হয় ইডিকেও।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এর আগে প্রাথমিক চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। সেই চার্জশিটেই বলা হয়েছিল, অপটিকাল মার্ক রেকগনিশন তথা ওএমআর (OMR- Optical Mark Recognition) শিট বিকৃত করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও সুবীরেশ ভট্টাচার্য সরাসরি ভাবে জড়িত বলে জানানো হয়েছিল চার্জশিটে।
আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ১৬টি ফাইলের তদন্তে পুলিশ কেন এত তৎপর, প্রশ্ন বিচারপতির