শেষ আপডেট: 18th July 2022 09:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্কুল আছে, পড়ুয়াও রয়েছে কিন্তু শিক্ষক? নেই। গত শুক্রবার ওই স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই স্কুল হয়ে পড়েছে অভিভাবকহীন! একমাত্র গ্ৰুপ ডি কর্মীর ভরসায় সেই থেকে চলছে স্কুল (No Teacher in School)। ছাত্রীরা আসে, নিজের মতোই পড়াশুনা করে আবার বই গুটিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। তাদের পাহারা দিচ্ছেন ওই স্কুলকর্মী!
গত কয়েকদিন এমনভাবেই পড়াশুনা চলছে খড়গ্রাম থানার খাসপুর জুনিয়র হাইস্কুলে (Khaspur Junior High School)। ২০০১ সালে তৈরি হয় এই স্কুল। প্রথমে কিন্তু এমন পরিস্থিতি ছিল না। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির এই স্কুলে তখন ২০০-এর বেশি ছাত্রী ভর্তি হয়েছিল। চারজন শিক্ষিকা নিয়মিত পঠন পাঠন করাতেন। খুশি ছিলেন গ্রামবাসীরাও।
সে তো আজ ইতিহাস। সরকারের উৎসশ্রী প্রকল্প (utsashree) চালু হতেই তাতেই গা ভাসিয়ে দেন শিক্ষিকারা। ধীরে ধীরে কমতে থাকে শিক্ষিকার সংখ্যা। শেষে এসে দাঁড়ায় একে। প্রধান শিক্ষিকা শেফালি দাসও গত শুক্রবার অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে যান।
এখন স্কুলে পড়ে আছেন শুধু একজন শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়ারা। কিন্তু এমন করে কতদিন? স্কুলে কমতে শুরু করেছে পড়ুয়ার সংখ্যাও। অনেক ছাত্রীই চলে গেছে অন্যত্র। কমতে কমতে এখন ওই স্কুলে এসে ঠেকেছে মাত্র ৭০ জন। কিন্তু তাদের কী হবে? কীভাবে চলবে পড়াশুনা? যারা আছে তাদের কথায়, অন্য স্কুলে যাওয়ার অবস্থা সবার নেই, আবার অনেক স্কুল এখনও ভর্তিও নিচ্ছে না।
অভিভাবকদের বাড়ল দুশ্চিন্তা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেসিগে আশেপাশের ১৭টি গ্রামের মেয়েদের ভরসা ছিল এই স্কুলটি। কিন্তু এখন? শিক্ষিকার অভাবে প্রায় বন্ধ হতে চলেছে স্কুলের দরজা। কোথায় যাবে তাঁদের মেয়েরা? জানেন না বাবা-মায়েরাও।
এই স্কুলটি যে জমির ওপর তৈরি সেটি ছিল এলাকার বাসিন্দা শওকত আলি মণ্ডলের। তিনিই স্কুলের সভাপতিও। তাঁর গলায় শোনা গেল হতাশার সুর। জানালেন, আশা করে স্কুলের জন্য জমি দিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকদিনেই স্কুলের পরিবেশ পুরো পাল্টে গেল। তাঁর আর্জি, এই বিষয়ে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।খড়গ্রাম উত্তর চক্র অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রিনি সরকার অবশ্য জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধান করা হবে। তবে সেটা কবে হয় এখন সেটাই দেখার।
উৎসশ্রীর জোয়ারে বন্ধ হওয়ার মুখে বাঘমুন্ডির স্কুল! সরকারি নীতির বিরুদ্ধে পথে কংগ্রেস