শেষ আপডেট: 17th July 2020 09:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে কোনও রকম পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশি অভিযানের অভিযোগ উঠল। জানা গেছে, তল্লাশি সংক্রান্ত কোনও নথি দেখাতে না পারায় অর্জুন সিংয়ের ছেলে তথা ভাটপাড়ার বিধায়কের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। সূত্রের খবর, আদপে ২৫ কোটি টাকা তছরুপের মামলায় অর্জুনের ভাইপো পাপ্পুকে নোটিস ধরাতে এসেছিল পুলিশ। এলাকার বিজেপি নেতা রাকেশ কুমার সিং বলেন, “২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বারে বারে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। পুলিশ তাঁকে বারবার হেনস্থা করছে। তাঁর বাড়িতে হাজির হয়ে যাচ্ছে। শুনেছি কোনও রাজনৈতিক নেতার নির্দেশেই পুলিশ এ সব করছে। মাসে এক দুবার করে পুলিশ আসে এবং তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে। আমরা জানতে পেরেছি গ্রেফতারি ও তল্লাশি করার কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ তাঁর বাড়িতে হাজির হয়ে যাচ্ছে। তারা ভবন তল্লাশি করতে এসেছিল। যদি তারা পাপ্পু সিংয়ের বাড়ি তল্লাশি করতে চায় তো পাশের বাড়িতে যেতে পেরে। কিন্তু মজদুর ভবন বা অর্জুন সিংয়ের বাড়ি তল্লাশি করার কোনও পরোয়ানা তাদের কাছে ছিল না।” ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিং বলেন, “ওঁরা বলেন আমাদের বাড়িতে তল্লাশি করবেন। তাঁদের কাছে ‘খবর’ আছে। আমরা জানাই যে তার ওপরে ভিত্তি করে তল্লাশি করা যায় না। সে জন্য পরোয়ানা দরকার। আমরা সেটি দেখতে চাই। তখন ওঁরা বলেন যে আমরা কাউকে পরোয়ানা দেখাই না। আমি বললাম যে অন্য কারও সঙ্গে নয় আপনি বিধায়কের সঙ্গে কথা বলছেন। আপনি এক জন বিধায়ক ও সাংসদের বাড়িতে আসছেন কোনও রকম ওয়ারেন্ট ছাড়া আর বলছেন কিছু দেখাতে পারবেন না। এমনি এমনিই তল্লাশি করবেন – আমরা আপনাদের অনুমতি দিতে পারব না। অনেক তর্কাতর্কি হল। ওঁরা একটা নোটিস ধরাতে চাইলেন। তারপরে ওঁরা চলে গেলেন।” তৃণমূলের ভাটপাড়ার পর্যবেক্ষক সোমনাথ শ্যাম, “পাপ্পু সিং থাকে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবনের তিন তলায়। হয়তো যে ঠিকানা আছে সেটা পাশের। ওখানে যখন আগের বারে পুলিশ রেড করে তখন ওঁর মা বলেছিলেন যে তিনি পাপ্পুকে চেনেন না। মজদুর ভবনে গেলে বলা হচ্ছে যে ও এখানে থাকে না। তখন অর্জুন সিং বলেছিলেন যে উনি তাঁর ভাইপো, নোটিসটা নিয়ে নিতে। কত রকম কথা হচ্ছে!” তিনি জানিয়েছেন, ভাটপাড়া কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে ২৫ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির জন্যই পুলিশ তল্লাশি করতে গিয়েছিল। ওই ঋণ অর্জুন সিং অনুমোদন করেছিলেন এবং তা পাপ্পুর অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল। তিনি জানান যে তল্লাশি করতে নয়, নোটিশ দিতে গিয়েছিল পুলিশ।