শেষ আপডেট: 4th September 2019 20:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মিড ডে মিলের মেনুতে এ বার হাজির তালের বড়া। সঙ্গে ছিল পায়েসও। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পারঙ্গের পার শিশু কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবারের মেনুতে ছিল এমনই চমক। সাধারণ ভাত-ডাল-সোয়াবিনের তরকারির সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পাতে পড়েছিল তালের বড়া আর পায়েস।
জানা গিয়েছে এই বিদ্যালয়ে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৭৩১ জন। শুধুমাত্র পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাওয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু এ দিন পায়েস আর তালের বড়া থাকায় অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী মিড ডে মিলে পাত পেরে খেয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমন উদ্যোগে খুশি শিক্ষা দফতরও। আলিপুরদুয়ার জেলা স্কুল পরিদর্শক (হাই) তপন সিনহা বলেন, “সরকারি বরাদ্দে এমন খাওয়ানো সম্ভব নয়। স্কুল কতৃপক্ষের উদ্যোগেই এটা সম্ভব হয়েছে। পুরো কৃতিত্বই স্কুল কতৃপক্ষের।” এমন দারুণ লোভনীয় মেনু দেখে দেদার খুশি পড়ুয়ারাও।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীর রায় চৌধুরি জানিয়েছেন, সব শিক্ষকরাই নিজেদের সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, “এই স্কুলে অধিকাংশ ছেলেমেয়েরাই গরিব পরিবার থেকে আসে। অনাথ আশ্রমে থাকা কিছু পড়ুয়াও আমাদের এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। ভাদ্র মাসে আমাদের অনেকের বাড়িতেই তালের বড়া খাওয়ার রীতি রয়েছে। তাই ভাবলাম স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরও যদি একদিন খাওয়ানো যায়।"
ইতিমধ্যেই মিড ডে মিল ইস্যুতে সরগরম হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। পশ্চিমবঙ্গের স্কুলেই পড়ুয়াদের পাতে নুন-ভাত দেওয়ার নিদর্শন মিলেছিল। এ নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন, এ বার থেকে মিড ডে মিলের মেনুতে থাকবে ডিম-মাছ-মাংস। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দেন, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলে ডাল-ভাত-তরকারি দিলেই চলবে। ডিম দিতে হবে না। কারণ, মাথাপিছু ৪ টাকা ৩১ পয়সায় বরাদ্দে ডিম খাওয়ানো যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেন দুই জেলার জেলাশাসক।
তবে এত জল্পনার মধ্যেই এ বার এই রাজ্যেই মিড ডে মিলের মেনুতে স্কুলের শিক্ষদের সহযোগিতায় জায়গা পেল তালের বড়া আর পায়েস।