দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের বিনা চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল রাজ্যে। পরিবারের দাবি, চার হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা মেলেনি। ফলে অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয়েছে ২২ বছরের ওই যুবকের। এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় সবকিছু খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বারাকপুর মহকুমার নোয়াপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত মোহনপুর পঞ্চায়েত এলাকার বড় কাণ্ঠালিয়া অঞ্চলে। ওই যুবকের নাম দীপঙ্কর সিংহ। জানা গিয়েছে দীপঙ্কর বেশ কিছুদিন ধরে স্নায়ুর অসুখে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। আরও কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়নি ওই যুবককে।
পরিবারের অভিযোগ, সব জায়গায় বলা হয়েছে, ওই যুবকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে মানে তিনি করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই তাঁকে ভর্তি নেওয়া যাবে না। কোনও হাসপাতালে আবার বলা হয়েছে ডাক্তার নেই। একটি হাসপাতাল থেকে একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু মাঝপথেই মৃত্যু হয় দীপঙ্করের।
যুবকের মৃত্যুর পরে পরিবারের আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের তরফে বারবার বলা হচ্ছে করোনা সংক্রমণের মধ্যে অন্যান্য জরুরি রোগীদেরও যেন চিকিৎসা হয়, কাউকে যেন ফেরানো না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে। কিন্তু দীপঙ্করকে নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁরা এ হাসপাতাল থেকে সে হাসপাতালে ঘুরেছেন। চারটি হাসপাতাল ঘুরেও বেড মেলেনি। আর তাতেই তাঁদের বাড়ির ছেলেকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়েছে। বেড পেলে কিংবা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হলে তাঁদের বাড়ির ছেলেকে বাঁচানো যেত বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
দীপঙ্করের মৃত্যুর খবর শুনে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। খবর নিয়ে দেখা হবে। হাসপাতালের গাফিলতি প্রমাণিত হলে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।