শেষ আপডেট: 11th June 2020 17:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারী গ্রামে জনধনের পাঁচশো টাকা হাতে পেতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মাস ছয়েক আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে স্ত্রীর উপরে অত্যাচার করত অভিযুক্ত। প্রণয়ের জেরেই হাবড়ার ফুলতলা গ্রামের বছর আঠেরোর দিশার সঙ্গে বিথারীর বাসিন্দা যুবক শ্রীকুমার ঘোষের বিয়ে হয় মাস ছয়েক আগে। এই বিয়েতে দিশার পরিবার প্রথমে রাজি ছিল না। তা সত্ত্বেও সেই সময় সাধ্যমতো দিশার বাবা স্বপন দাস সোনার গয়না ও নগদ অর্থ দিয়েছিলেন। বিয়ের পর থেকে বার বার কখনও টাকা আবার কখনও সোনার গয়নার দাবিতে তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েক বার ওই গৃহবধূ তাঁর বাপের বাড়ি হাবড়ার ফুলতলায় চলে যান। তাঁকে ফিরে আসার জন্য প্রতি বারই টেলিফোন করে চাপ দেওয়া হত বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকালে বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে যান ওই গৃহবধূ। তাঁর অ্যাকাউন্টে জনধন যোজনার পাঁচশো টাকা জমা পড়লে স্বামী শ্রীকুমার সেই টাকা দিশার কাছে তার চান বলে অভিযোগ। জোর করে তাঁর পাশবই কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। গৃহবধূ তার প্রতিবাদ করলে তাঁকে কেরোসিন তেল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বিয়ের পর থেকে শ্রীকুমার কোনও কাজকর্ম করত না। গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সারাফুল গ্রামীণ হাসপাতালে ও তারপরে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এই খবর তাঁর বাপের বাড়ি পৌঁছাতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃত গৃহবধূর পরিবার। তাঁর বাবা স্বপন দাস স্বরূপনগর থানায় শ্রীকুমার ঘোষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ শ্রীকুমার ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। শুধু জনধন যোজনার পাঁচশো টাকার জন্য খুন নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।