শেষ আপডেট: 11th June 2020 11:35
সালানপুরে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, গ্রেফতার শাশুড়ি, পলাতক স্বামী-সহ দুই অভিযুক্ত
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর ব্লকের আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপল্লিতে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গ্রেফতার করা হল তাঁর শাশুড়িকে। শম্পা ঘটক নামে বছর চব্বিশের ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানানো হলেও তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জন এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর মেয়ে শম্পার সঙ্গে আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত শ্রীকৃষ্ণপল্লির সৌমেন ঘটকের বিয়ে হয়। তাঁদের দেড় বছরের সন্তান রয়েছে। বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় শম্পার দেহ উদ্ধার করে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। খবর দেওয়া হয় তাঁর বাবা বিশ্বনাথ চক্রবর্তীকে। খবর পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়ে যান। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাঁর মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, “তিন বছর আগে শম্পার বিয়ে দিয়েছিলাম শ্রীকৃষ্ণপল্লির সৌমেন ঘটকের সঙ্গে। বিয়ের সময় নগদ এক লক্ষ টাকা এবং আসবাবপত্র দিয়েছিলাম। বিয়ের ছ’মাস পর থেকে আরও টাকার দাবিতে আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার করত তার স্বামী ও শাশুড়ি। পণের জন্যই আমার মেয়েকে তারা মেরে ফেলেছে। কাল রাতে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি থেকে আমার কাছে ফোন আসে। বলা হয় আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে কিন্তু আমি মনে করি আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং এখন আত্মহত্যা বলা হচ্ছে।” বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে হত্যার অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ তাঁদের থানা থেকে বের করে দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে সালানপুর থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তিনি শম্পার স্বামী সৌমেন ঘটক, তাঁর শাশুড়ি প্রণতি ঘটক ও সৌমেনের কাকিমা বন্দনা ঘটকের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রণতি ঘটককে গ্রেফতার করেছে। অন্য দু’জন পলাতক। সালানপুর থানার অফিসার পবিত্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এটি আত্মহত্যা না খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।