শেষ আপডেট: 27th June 2020 12:32
গোয়ালপোখরে উদ্ধার কিশোরের রক্তাক্ত দেহ, শরীরে নেই আঘাতের চিহ্ন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়া এক কিশোরের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল শনিবার সকালে। বাংলাদেশ সীমান্তের ঘোড়ামারা এলাকায় একটি পুকুরে তার দেহটি ভাসতে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। শুক্রবার রাতে খাওয়াদাওয়া সারা হয়ে যাওয়ার পরে পাড়ায় ঘুরতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় বছর ষোলোর আকাশ রায়। তারপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না তবে তার মুখমণ্ডল জুড়ে রক্তের প্রচুর দাগ দেখা গেছে। নিহতের বাড়ির লোকের অভিযোগ, আকাশ রায়ের হাত ও পায়ে দড়ি দিয়ে বাঁধার দাগ রয়েছে। মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসাবে তাঁরা বলেন, ওই কিশোরকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে মেরে জলে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দেহটিকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কিশোরের দেহ উদ্ধারের খবর চাউর হতেই ওই পুকুরের পাড়ে গিয়ে হাজির হন এলাকার পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে সকলেই। সাম্প্রতিক কালে এই গ্রামে এ ভাবে কারও মৃত্যু হয়নি। পুলিশ এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কিন্তু এখনও কোনও সূত্র পায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করছে। মৃত কিশোরের বাবা কর্ণ রায় বলেন, “রাতে যখন আজান হচ্ছিল তখন ও বাড়ি থেকে বের হয়। রাত তখন আটটা কি সাড়ে আটটা হবে। তার পরে আর বাড়ি ফেরেনি। কী করে কী হল বলতে পারব না।” তিনি দাবি করেছেন, কারও সঙ্গে তাঁদের কোনও শত্রুতা নেই। তা হলে কেন এ ভাবে মৃত্যু হল তাঁর ছেলের? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সেটা পুলিশ তদন্ত করে বলতে পারবে।” ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন, “একটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তখন পুরোটা বোঝা যাবে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান জলে ডুবে মৃত্যু হতে পারে। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।” দেহটি উল্টো হয়ে জলে ভাসছিল। তা সত্ত্বেও কী ভাবে মুখে রক্তের দাগ এল তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।