শেষ আপডেট: 22nd June 2020 07:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরবঙ্গের গরুমারা অভয়ারণ্য এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাউথ ডিভিশনে চোরাশিকার রুখতে এবং কাঠপাচারে লাগাম টানতে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে নিয়ে আসা হল বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত দুটি কুকুর। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই দুটি কুকুরকে টানা ন’মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে গোয়ালিয়রে। ওই দুটি কুকুরকে উপযুক্ত ভাবে ব্যবহার করার জন্য চার জন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীকে পাঠানো হয়েছে। এক একটি কুকুরের সঙ্গে দু’ জন করে কর্মী থাকবেন। বন দফতর সূত্রে জানা গেছে ২০ জুন তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরে সোমবার সকালে সল্টলেকের ডিয়ার পার্কে তাঁদের নিয়ে আসা হয়। আপাতত সেখানেই দুপুর পর্যন্ত বিশ্রামে থাকবে তারা। এর পরে এই দুটি কুকুরকে প্রশিক্ষকদের সঙ্গে তাদের গন্তব্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মুখ্য বনপাল (চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট) ও সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টর সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “জঙ্গলে কাঠ ও বন্যপ্রাণীর নিরিখে যে সব লোক অবৈধ কাজ করে, যারা চোরা শিকারের সঙ্গে যুক্ত এবং যারা কাঠ চুরি করে সেই রকম লোকজনকে খুঁজে বার করা হবে এই দুটি কুকুরের কাজ। এটাই এদের মূল দায়িত্ব।” তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে দুটি কুকুর তাঁদের রয়েছে। একটি সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভে এবং অন্যটি বক্সা টাইগার রিজার্ভে। এখন সেই তালিকায় আরও দুটো কুকুর যোগ হল। তিনি বলেন, “আগামী দিনে আরও দুটো কুকুর আসবে। এটা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে। এর ফলে চোরা শিকার আরও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে আমরা আশাবাদী।” বন দফতর সূত্রে জানা গেছে কালো রঙের যে কুকুরটি এসেছে তার নাম অরল্যান্ডো। এই কুকুরটিকে গরুমারা অভয়ারণ্যে পাঠানো হবে। অন্য কুকুরটির গায়ের রং হলুদ। সেটির নাম সায়ানা। সেই কুকুরটিকে সাউথ ডিভিশনে পাঠানো হবে। উত্তরবঙ্গের বনে হাতি, স্যালামান্ডার-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও তাদের দেহাংশের লোভে চোরা শিকারীদের উপদ্রব রয়েছে। দামি কাঠের লোভ তো রয়েইছে। দক্ষিণববঙ্গে বিভিন্ন সময় উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ, তক্ষক (গেকো), বনরুই (প্যাঙ্গোলিন) প্রভৃতি। মেহগনি কাঠের প্রতিও লোভ রয়েছে কাঠ পাচারকারীদের। এই তালিকায় নানা ধরনের পাখি রয়েছে। চোরাশিকারী ও গাছ পাচারকারীদের হাত থেকে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করার জন্য প্রশিক্ষিত কুকুরকে কাজে লাগাচ্ছে বন দফতর।