শেষ আপডেট: 3rd February 2020 16:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের বোমা বিস্ফোরণে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের পাড়ুই। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে দুটো হাত উড়ে গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপি শেখের। আহত হয়েছে আরও তিনজন। বর্তমানে নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে পাড়ুই থানার ল্যাবরাশ্বর গ্রামে। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে গ্রামের বাইরে একটা চাষের জমিতে বসে বোমা বাঁধছিল বাপি শেখ-সহ কয়েকজন। তখনই বিকেল ৩টে নাগাদ প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের মানুষরা বেরিয়ে দেখেন জমির একটা দিক কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। সেখানে দৌড়ে যান তাঁরা। জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাপি। তার দু’হাতের কব্জির উপর থেকে পুরোটা উড়ে গিয়েছে। শেখ আশরাফুল, সদাই মীর নামের আরও দুই তৃণমূল কর্মী সেখানে আহত অবস্থায় পড়েছিল। গ্রামবাসীরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিয়ে যান সিউড়ি জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাদের। সেখানেই আপাতত ভর্তি রয়েছে আহতরা। সূত্রের খবর, যেখানে বাপিরা বোমা বাঁধছিল সেখানে তখনও বেশ কিছু তাজা বোমা পড়েছিল। কিন্তু এই বিস্ফোরণের পরেও ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেনি বলেই খবর। গ্রামবাসীরা বোমাগুলি পাশের খালের জলে ফেলে দিয়েছেন বলে খবর। তৃণমূল নেতা বাপি শেখের বাড়ি গ্রামের মসজিদ পাড়ায়। বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ে আছে বাপির। কিন্তু এই ঘটনার পরে বাপির বাড়ির লোকেরা কোনও মন্তব্য করেননি। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত বাপি। কয়েক দিন আগেই তাকে তৃণমূলের বুথ সভাপতি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা। কী কারণে বাপিরা বোমা বাঁধছিল সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না কেউ। এই ঘটনার পর ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি শেখ সামাদ অভিযোগ করেছেন, “বিজেপির তরফে পাড়ুই থানার বিভিন্ন গ্রামে সঙ্কল্প যাত্রার কথা বলা হয়েছিল। এই যাত্রায় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাধিক নেতার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় তা হয়নি। পরে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের নিয়েই এই যাত্রার পরিকল্পনা করা হয়। সেই যাত্রার মধ্যে সন্ত্রাস চালাতেই বোমা বাঁধছিল বাপিরা। এই ঘটনার কথা পুলিশ জানত। কারণ এত বড় বিস্ফোরণের পরেও সেখানে পুলিশ আসেনি।” অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ মুস্তাক জানিয়েছেন, “আমি শুনেছি বাপি শেখ আহত হয়েছে। কিন্তু তখন আমি বাইরে ছিলাম। তাই পুরো ঘটনাটা জানি না। সবটা না জেনে কোনও মন্তব্য করব না।”