শেষ আপডেট: 4th July 2020 07:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এলাকার লোকজন উমফানে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তাতেই ক্ষেপে গিয়ে এক বিজেপি কর্মীর পরিবারের উপরে চড়াও হল তৃণমূল কংগ্রস। তাতে ওই বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছে। তাঁর পরিবারের অন্য পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঘবপুর এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে চড়াও হন এলাকার লোকজন। অভিযোগ, এর পর তুষার পাইক নামে ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনার পরে তৃণমূল কর্মীরা স্থানীয় ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে ওই এলাকায় গিয়ে বিজেপির কর্মী অজয় বৈদ্যর বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ। তাতে অজয় বৈদ্যর পরিবারের মোট ছ’জন সদস্য আহত হয়েছেন।
অজয়ের স্ত্রী তুলসী বৈদ্যর মাথা ফেটে গিয়েছে। তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হচ্ছে বারাসত জেলা হাসপাতালে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা মছলন্দপুর তদন্ত কেন্দ্রের সামনে বনগাঁ- বসিরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি জানানো হয়। এরপর একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় মছলন্দপুর তদন্ত কেন্দ্রে। বনগাঁ বসিরহাট সড়কের উপরে প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি।
[caption id="attachment_236380" align="aligncenter" width="698"] স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় মছলন্দপুর তদন্ত কেন্দ্রে[/caption]
বিজেপি কর্মীর উপরে হামলার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাবড়া এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অজিত সাহা জানান, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে চড়াও হওয়া নিয়ে এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এলাকায় বিষয়টি জানতে গেলে তাঁদের উপর হামলা করে বিজেপির লোকজন। যার পরিপেক্ষিতে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের গণ্ডগোল হয়। মছলন্দপুর ফাঁড়িতে দু'পক্ষই দুপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ঘূর্ণিঝড় উমফানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। মূল অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে সেখানে নাম রয়েছে শাসকদলের পরিবার ও দলের কর্মীদের নাম রয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকা বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে। উমফানের পরেই রাজ্যে পরিদর্শনে এসেছিসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাথমিক ভাবে এক হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। সেই টাকা বণ্টনে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। যাঁরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁরা টাকা পাননি বলে অভিযোগ।