শেষ আপডেট: 12th August 2020 01:05
বেলডাঙায় এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজি, এলাকায় পুলিশ
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক বনাম বর্তমান বিধায়কের অনুগামীদের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। বেলডাঙার বেগুনবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হিজুলি গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দফায় দফায় বোমাবাজিতে বুধবার দিনভর অশান্ত রইল এলাকা। দুই পক্ষেরই কয়েক জন করে সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত থেকেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে শুরু করে বেলডাঙার হিজুলি গ্রাম। এলাকা সূত্রে জানা গেছে হিজুলি মাঠপাড়ায় স্থানীয় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী এবং মাঠপাড়ার অপর গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব অনেক দিনের। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রবিউল ইসলাম এবং দল ছেড়ে দেওয়ার দীর্ঘদিন পরে সম্প্রতি আবার তৃণমূলে ফিরে আসা প্রাক্তন বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলেই এই সংঘর্ষ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হুমায়ুন কবিরের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা ঘিরে দিন কয়েক আগে থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা দেখা দিতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে হুমায়ুন কবির তৃণমূলে ফিরে আসায় দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। হুমায়ুন তৃণমূলে ফেরার ফলে বর্তমান বিধায়ক বনাম প্রাক্তন বিধায়কের অনুগামীরা এলাকায় নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মঙ্গলবার রাত থেকেই পরিকল্পনা করতে শুরু করে। এই অবস্থায় বুধবার থেকে শুরু হয় এলাকা জুড়ে ব্যাপক অশান্তি। বোমাবাজি ও পাল্টা বোমাবাজির জেরে গোটা গ্রাম প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। খবর পাওয়ার পরেই এলাকায় চলে আসে বিরাট পুলিশবাহিনী। আসেন বহরমপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনীশ সরকার। গোটা এলাকায় জুড়েই এখন উত্তেজনা রয়েছে। যদিও এই ঘটনায় গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার রাত থেকে অশান্তি চললেও এ ব্যাপারে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের খান। তিনি বলেন, “গ্রামের পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে। বাকিটা আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
বেলডাঙা বহু দিন ধরেই রাজনৈতিক ভাবে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এখানে কখনও উদ্ধার হয়েছে বোমা আবার কখনও এনআরসির প্রতিবাদে আগুন জ্বলেছে। এবার অবশ্য ইস্যু সম্পূর্ণ আলাদা। বর্তমান বিধায়ক বনাম প্রাক্তন বিধায়কের অনুগামীদের ক্ষমতা দখলের লড়াই। ভোট ক্রমেই এগিয়ে আসায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যতই বলুক একসঙ্গে কাজ করতে, নীচুতলার কর্মীরা যে সে কথা শুনছেন না তা এই ঘটনায় আরও একবার দেখা গেল।