শেষ আপডেট: 26th April 2020 02:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকার বরাদ্দ করেছে চাল এবং আলু। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেই চাল-আলুর সঙ্গে বিস্কুট ও চিঁড়ে বিতরণ করে বিপাকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমগাছিয়া লাল বাহাদুর প্রাথমিক স্কুলের টিচার ইনচার্জ। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিষ্ণুপুর সার্কেল ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরিয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। শুধু মৌখিক অভিযোগ নয়। ওই চিঠিটিও টুইট করেছেন সিপিএম নেতা। তাতে সূর্যবাবু প্রশ্ন তুলেছেন, "ভয় কীসের? শিক্ষকরা ছাত্রদরদী হলে ছাত্রছাত্রীদের পরিবার সরকার দরদী থাকবে না?" https://twitter.com/mishra_surjya/status/1254119343358726145?s=08 গোটা ঘটনায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শিক্ষক মহলেও। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সংসদের এক রাজ্য নেতা বলেন, "এই রকম বিচিত্র শোকজ চিঠি এই প্রথম দেখলাম!" তিনি আরও বলেন, "সরকারি বরাদ্দের বাইরে ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত জিনিস দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। গরমকালে প্রায় সব স্কুলেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা চাঁদা তুলে ছাত্রছাত্রীদের আম খাওয়ায়। কোনও কোনও স্কুলে বছরে একদিন ইলিশ মাছ খাওয়ানোরও চল আছে!" শোকজ চিঠিতে লেখা হয়েছে, কেন সরকারি নির্দেশিকার বাইরে গিয়ে জিনিস দেওয়া হয়েছে, তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কারও অনুমোদন ছিল কিনা তা সার্কেল দফতরকে জানাতে হবে। বিষ্ণুপুর সার্কেলের অধিকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে। রাজ্যের এক মন্ত্রী ঘরোয়া আলোচনায় এ ব্যাপারে বলেন, সূর্যকান্তবাবুর ন্যূনতম বোধ থাকলে এ কথা বলতেন না। ওই শিক্ষকের যদি নিজের পকেট থেকে খরচ করে দান করার ইচ্ছা থাকে তা হলে তা স্কুলের বাইরে করতে পারতেন। সরকার সব স্কুলের জন্য এক নিয়ম করেছে। তিনি চাল, আলুর সঙ্গে যে বিস্কুট দিচ্ছেন সেই ছবি অন্য স্কুলের ছেলেমেয়েরা বা তাদের অভিভাবকরা দেখলে বিভ্রান্ত হতে পারেন। তাঁদের মনে হতে পারে, সরকারি ব্যবস্থায় বৈষম্য হচ্ছে। ওই শিক্ষকের যেমন এই বোধা থাকা উচিত ছিল, তেমনই এতদিন রাজনীতি করার পরেও সূর্যকান্তবাবুর সেই বোধ কেন নেই তাতে অবাক হচ্ছি।