শেষ আপডেট: 26th December 2020 17:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মনে পড়ে মা তুঝে সালাম-এর কথা? বরফ ঢাকা পাহাড়ের উপর পাকিস্তানকে সানি দেওয়ালের হুঁশিয়ারি দেওয়ার সেই সংলাপ এখনও লোকের মুখে মুখে ঘোরে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার জনসভায় সৌগত রায়ের মুখে শোনা গেল সেই সংলাপ। তবে পাকিস্তান নয়। বিজেপির বিরুদ্ধে। সিনেমায় সানি বলেছিলেন, "দুধ মাঙ্গোগে তো ক্ষীর দেঙ্গে, কাশ্মীর মাঙ্গোগে তো চির দেঙ্গে।" সৌগত রায় এদিন বলেন, ‘‘দুধ চাইলে ক্ষীর দেব, বাংলা চাইলে চিরে দেব।’’ এমনিতে বাংলার রাজনীতিতে ইদানিং অনেক ডায়লগ শোনা যায়, যা ফিল্মকেও হার মানাবে। এই যেমন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একবার সভা মঞ্চ থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর ডায়লগ বলে বিস্তর বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, "মারব যেখানে লাশ পড়বে সেখানে॥ হাসপাতাল বা শ্মশানে নিয়ে যেতে হবে না।" অন্যদিকে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তো মিঠুনের ওই সংলাপটিকে আত্মস্থ করে ফেলেছেন- "আমি খবর দেখি না, খবর শুনি না, খবর তৈরি করি।" অনুব্রতও ডায়লগের স্রষ্টা। চরাম-চরাম, গুড় বাতাসা, পাচন, হনু টুপি কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন- অনুব্রত ডায়লগ শোনেন না, তৈরি করেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, বাংলায় ভোটের উত্তাপ ঠিক কোন পর্যায়ে যাচ্ছে। দমদমের প্রবীণ সাংসদ আরও বলেন, "২০০৬ সালে সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশের অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।" সেই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের বিধায়করা বিধানসভার মধ্যে আসবাব ভাঙচুর করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে সৌগত বলেন, ‘‘সে দিন যারা উন্মত্ত ভূমিকা নিয়েছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দু’জন অর্জুন সিংহ এবং দুলাল বর। যাঁরা আজ আমাদের দলে নেই। তাঁরা এখন বিজেপিতে চলে গিয়ে উগ্র ভূমিকা পালন করছেন।’’ সৌগতবাবুর মুখে একথা শুনে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, "বাংলার জনগণ এখন তৃণমূলকে বলছে, দুধ চাইলে ক্ষীর দেব আর বাংলাদেশ বানাতে চাইলে চিরে দেব।"