শেষ আপডেট: 17th May 2019 01:57
রাজীব কুমার মামলায় কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, দেখে নিন সাতটি পয়েন্ট
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল ২ মে। তার পর রায়দান সংরক্ষিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তিন জন বিচারপতির বেঞ্চ। শুক্রবার ওই মামলারই রায় ঘোষণা করল সর্বোচ্চ আদালত। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট- ১। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাসভবনে সিবিআইয়ের টিম যাওয়ায় যে ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রেক্ষিতেই গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি অন্তর্বর্তী রায় দেওয়া হয়েছিল। ২। ওই অন্তর্বর্তী রায়ের মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করা হয়েছিল যাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দেন রাজীব কুমার। একই সঙ্গে রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তার মাধ্যমে বিতর্ক মীমাংসার চেষ্টা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। ৩। কিন্তু সিবিআই এর পরেও বারবার আবেদন জানায় যে সুপ্রিম কোর্ট ওই রক্ষাকবচ তুলে নিক, অর্থাৎ তারা চাইলে যাতে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে পারে। আবার রাজ্য পুলিশের তরফে আর্জি জানানো হয় যে, সেই অনুমতি যেন না দেওয়া হয় সিবিআইকে। দু’জনেরই জোরালো বক্তব্য রয়েছে। ৪। সুপ্রিম কোর্ট বিবেচনা করে দেখেছে আদালত অবমাননার মামলায় (মূল মামলাটি ছিল আদালত অবমাননার, কারণ সিবিআই অফিসাররা রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাড়িতে গেলে, তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছিল) আমাদের পক্ষে এটা ঠিক করা সম্ভব নয় যে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা উচিত কিনা। সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারেরও আইনি অবস্থান হল, আদালত অবমাননার সঙ্গে রাজীব কুমারকে রক্ষা কবচ দেওয়ার বিষয়টি যেন মিলিয়ে ফেলা না হয়। তা প্রত্যাহার করে নিক সুপ্রিম কোর্ট। ৫। তাই আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাজীব কুমারকে যে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। সিবিআই এ বার আইন অনুযায়ী রাজীব কুমারের ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে পারে। ৬। তবে এই রায় ঘোষণার সময় থেকে আরও সাত দিন রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ থাকবে। এর মধ্যে তিনিও উপযুক্ত আদালতে সুরাহা চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। ৭। সুপ্রিম কোর্ট আরও স্পষ্ট করে দিতে চায় যে, এই মামলায় যে সওয়াল জবাব হয়েছে তার যাথার্থ আদালত বিবেচনা করে দেখেনি। রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা হবে কি হবে না সে ব্যাপারে পরবর্তী কালে কোনও আদালতে শুনানির সময় এই রায়কে তাই যেন বিবেচনা না করা হয়।