শেষ আপডেট: 7th August 2020 12:22
জয়েন্টে দ্বিতীয় দুর্গাপুরের শুভম ঘোষ, পঞ্চম স্থানে শহরেরই পূর্ণেন্দু সেন
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সাফল্যের পরে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সেও মেধা তালিকায় জায়গা করে নিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা। দুর্গাপুরের শুভম ঘোষ মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নিয়েছেন। পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন এই শহরেরই পূর্ণেন্দু সেন।
দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি-জোন এডিশন রোডের বাসিন্দা শুভম ঘোষ। শুভমের বাবা বিশ্বনাথ ঘোষ সৈনিক স্কুলের প্রাক্তন অধ্যাপক। মা কল্যাণী ঘোষ দুর্গাপুর হাসপাতালের নার্স। শুভম তাঁদের একমাত্র ছেলে। তিনি পড়াশোনা করেছেন দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলে। পড়াশোনায় প্রথম থেকেই ভাল শুভম। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি স্কুলে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি চলছিল তাঁর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি। ভবিষ্যতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে তিনি পড়াশোনা করতে চান।
ছেলের এই সাফল্যের পরে কল্যাণী ঘোষ বলেন, আর পাঁচজন বাবা-মা ছেলেকে যে ভাবে গাইড করেন আমরাও সেই ভাবেই পাশে থেকেছি।”
জয়েন্ট এন্ট্রান্সে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ণেন্দু সেন। তিনি দুর্গাপুরের বেঙ্গল অম্বুজায় একটি ঘরে ভাড়া থাকেন। তাঁদের আসল বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়। পূর্ণেন্দুর দাদা বর্তমানে আইআইটি খড়্গপুরে গবেষণারত। তাঁর বাবা বাঁকুড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী।
[caption id="attachment_248063" align="aligncenter" width="642"] জয়েন্টে পঞ্চম পূর্ণেন্দু সেন।[/caption]
তাঁর কথায় এই ফল তাঁর কাছে অবিশ্বাস্য। তিনি চান তাঁর দাদার মতোই আইআইটিতে পড়তে। পছন্দের বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স। তবে পছন্দের আইআইটিতে সুযোগ না পেলে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান বলে জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে অন্য সমস্ত পরীক্ষার মতোই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ফল প্রকাশে কিছুটা দেরিও হয়। এ বছর ৭৫ হাজার মতো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন। ফল প্রকাশের পরে দ্রুত কাউন্সিলিংয়ের প্রক্রিয়াও শেষ করতে চাইছে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।
প্রায় ১৭ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে অন লাইন কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিতে করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। জয়েন্টের মেধা তালিকায় প্রথম দশ জনের মধ্যে সাত জনই সিবিএসই বোর্ডের পড়ুয়া। মাত্র একজন বাংলার বোর্ডের। মেধা তালিকার শীর্ষে আইএসসি বোর্ডের দুই পড়ুয়াও আছেন।
প্রথম হয়েছেন রায়গঞ্জের সৌরদীপ দাস। তিনি তিনি দেওঘর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র ছিলেন।