শেষ আপডেট: 7th August 2020 09:02
জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশিত, প্রথম রায়গঞ্জের সৌরদীপ দাস
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য জয়েন্ট এন্টান্স পরীক্ষায় প্রথম হলেন সৌরদীপ দাস। তিনি দেওঘর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাবা শঙ্করচন্দ্র দাস রায়গঞ্জে রাজ্য কৃষি দফতরে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে কর্মরত। সৌরদীপ জানিয়েছেন তিনি বিজ্ঞানী হতে চান। তাঁর মা-বাবাও তাই চান। আজ শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে অন্য সমস্ত পরীক্ষার মতোই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ফল প্রকাশে কিছুটা দেরিও হয়। এ বছর ৭৫ হাজার মতো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন। ফল প্রকাশের পরে দ্রুত কাউন্সিলিংয়ের প্রক্রিয়াও শেষ করতে চাইছে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। প্রায় ১৭ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে অন লাইন কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিতে করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। জয়েন্টের মেধা তালিকায় প্রথম দশ জনের মধ্যে সাত জনই সিবিএসই বোর্ডের পড়ুয়া। মাত্র একজন বাংলার বোর্ডের। মেধা তালিকার শীর্ষে আইএসসি বোর্ডের দুই পড়ুয়াও আছেন। প্রথম স্থানাধিকারী সৌরদীপ জানিয়েছেন জয়েন্টে ভাল ফল করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী ছিলেন তবে এতটা ভাল ফল করবেন তা তিনি আশা করেননি। পড়াশোনার ব্যাপারে তাঁকে সব সময় মিশনের মহারাজরা সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন সৌরদীপ। মাধ্যমিকে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে তিনি আরও ভাল ফল করেছেন। তিনি জানিয়েছেন স্কুল ছাড়া দিনে ঘণ্টা ছয়েক করে পড়াশোনা করেছেন। হস্টেলে থাকার সময় শিক্ষক ও মহারাজদের সহায়তা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন কিছু আবিষ্কার করতে চান যা সমাজের কল্যাণে লাগবে। তবে সেটা কী তা আরও গভীর ভাবে পড়াশোনা করলে তবেই বুঝতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। হাওড়ার ক্যারি রোড এলাকার বাঙাল পাড়া ফার্স্ট বাই লেনের বাসিন্দা উৎসব বসু জয়েন্টে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন। তিনি কলকাতার সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের ছাত্র। উৎসবের এই ফলে খুশি পরিবারের সবাই। তবে ফল এতটা ভাল হবে ভাবতে পারেননি উৎসব ও তাঁর বাবা-মা। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার পাশাপাশি অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে ভবিষ্যতে পড়াশোনা করতে চান উৎসব।