শেষ আপডেট: 3rd June 2020 06:13
হীরাপুরে কিশোর খুনের কিনারা, বারো বছরের ছেলেকে গুলি করার কথা স্বীকার করল বাবা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কিশোর খুনের কিনারা করল হীরাপুর থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ ধরে টানা জেরার পরে নিজের ছেলেকে গুলি করে মারার কথা স্বীকার করে নিল সন্দেহভাজন ভূপিন্দর সিং। জেরার মুখে সে পুলিশকে জানিয়েছে, ছেলের সঙ্গে ঝগড়ার সময় রাগের বশে কাছ থেকে গুলি চালিয়ে দেয়। স্বীকারোক্তি পাওয়ার পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। কিছুক্ষণ আগে পুলিশ ধৃতকে আদালতে পেশ করেছে। তার বিরুদ্ধে খুনের পাশাপাশি অস্ত্র আইনেও মামলা করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের হীরাপুর থানার রাধানগর রোডে সোমবার সন্ধ্যারাতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। তার নাম স্বর্ণদীপ সিং। বয়স বারো বছর। ঘটনার পরপরই এলাকার লোকজন জানিয়েছিলেন পেশায় জমির দালাল ভূপিন্দর বদমেজাজি। সেই জন্য এলাকার লোকজনের সঙ্গে তো বটেই, নিজের ভাইয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ ছিল। সেই রাতেই তার বাবা ভূপিন্দর সিংকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন ভূপিন্দর বলেছিল, ঘরে তালা লাগিয়ে ছেলের জন্য সে শিঙাড়া কিনতে গিয়েছিল। ফিরে এসে দেখে ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। রাত নটা নাগাদ স্বর্ণদীপকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসক ও পুলিশ উভয়েই প্রাথমিক ভাবে মনে করছিল গুলি করে হত্যা করা হয়েছে স্বর্ণদীপকে। সোমবারই পুলিশ তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। সেটি সে কোথা থেকে পেয়েছে তা বলতে পারছিল না। মঙ্গলবার সকালে তাকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানেও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে তখনও সে দোষ স্বীকার করেনি। ভেলোরে চিকিৎসারত অবস্থায় ২০১২ সালে তার স্ত্রী মারা যান। তার পর থেকে ছেলে স্বর্ণদীপকে নিয়ে সে থাকত। স্বর্ণদীপ বার্নপুরের গুরু নানক হাইস্কুলে পড়ত। ভূপিন্দর সম্প্রতি অবৈধ কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন। সূত্রের খবর, বহু দিন ধরেই বার্নপুরের কোনও এক মহিলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে ভূপিন্দরের। সেই সম্পর্ক মানতে রাজি হয়নি স্বর্ণদীপ। সে কারণে বাবা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া এবং তা থেকেই গুলি বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।