শেষ আপডেট: 11th August 2020 13:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: এ বছর কৌশিকী অমাবস্যায় ভক্তদের জন্য খোলা থাকছে না দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নকশা গ্রামের প্রাচীন কালী মন্দির। মূলত উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রত্যন্ত জায়গায় এই মন্দিরটি অবস্থিত হলেও এই মন্দিরে প্রতি বছর কৌশিকী অমাবস্যায় ভিড় উপচে পড়ে। কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের কৌশিকী অমাবস্যায় নকশা গ্রামের প্রাচীন কালীমন্দিরে ধুমধাম করে কালী ঠাকুরের পুজো হয়। লক্ষাধিক জনসমাগম হয় মন্দির চত্বরে। এই বিশেষ তিথিতে দেবীর পুজোকে কেন্দ্র করে মন্দির চত্বরে বসে বিশাল মেলা। কিন্তু এবারে ধুমধাম করে পুজো হবে না। ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধই থাকছে। মেলা বসানোর অনুমতিও দেওয়া হয়নি। বহু বছর ধরে প্রতি শ্রাবণ মাসের কৌশিকী অমাবস্যায় পুজো দিতে এই মন্দিরে ভক্তরা আসেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই অন্য রাজ্যে এমনকি পাশের দেশ থেকেও। সেই কারণেই এখানে মেলা বসত। বছরের এই একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকতেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই মেলা থেকে তাঁদের বার্ষিক আয়ও হত। কিন্তু এখন সেই মেলা বসানো সম্ভব নয়। পুরো রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মেলা চলত সারা রাত ধরে। রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে যেত। চলত বিকিকিনি। এবার সব ফাঁকা। মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এখন সবার প্রথম কাজ হল যে ভাবেই হোক করোনার সংক্রমণ আটকানো। ঈশ্বরের কাছে তাঁরা প্রার্থনা করেছেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি করোনা মুক্ত হয়ে যায় পুরো বিশ্ব। যাতে আগামী বছর আবার সেই আগের মতোই ধুমধাম করে পালন করা যায় কৌশিকী অমাবস্যায় দেবীর পুজো। এখানের মূর্তিটি অনেক পুরনো। আগে শুধু মূর্তিই পুজো হত। এখানে মন্দির হয়েছে ৫৮ বছর আগে। কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই জায়গাটির পাশ দিয়ে বিদ্যাধরী নদী বয়ে গেছে। এখানে শ্মশানটি বহু পুরনো। সেই সূত্রেই এখানে বহু প্রাচীন কাল থেকে শ্মশানকালীর পুজো হয়ে আসছে। যাঁরা তারাপীঠে যেতে পারে না তাঁরা এখানে আসেন। পুজো দেন। এখানের শ্মশানে এখনও কাঠের চুল্লিতেই শবদাহের ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি সেটিকে ব্লকের সহায়তায় সংস্কার করা হয়েছে।