শেষ আপডেট: 10th November 2019 08:46
বুলবলের ঝাপটায় অনেক ক্ষতি, রিপোর্ট এল নবান্নে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে কতটা ক্ষতি হয়েছে বাংলায়, তার একটা প্রাথমিক রিপোর্ট এল নবান্নে। ক্ষতিগ্রস্থ ৯ জেলার জেলাশাসকরা প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছেন সরকারকে। নবান্ন সূত্রে খবর, যে রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত এসেছে তাতেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। জানা গিয়েছে জেলা শাসকরা যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গ ও রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে মোট ৯টি জেলায় ৩ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভেঙে পড়েছে ৭ হাজারের বেশি বাড়ি। গাছ উপড়েছে ৯ হাজার। ৯৫০টি মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। শুক্রবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব। যত সময় গড়িয়েছে বৃষ্টি বেড়েছে। সেইসঙ্গে দাপট দেখিয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার সন্ধ্যার পর স্থলভাগে পৌঁছয় বুলবুল। এর দাপটে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে বুলবুলের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাস। শুক্রবার থেকেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের মোকাবিলায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমকে ২৪ ঘণ্টা তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে শনিবার ও সোমবার ছুটি দেওয়া হয় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও কলকাতার সব সরকারি স্কুল। এই সাত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখেন তিনি। খোঁজ-খবর নেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন নবান্নের কন্ট্রোল রুমে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আগামী সপ্তাহে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ সফরে। কিন্তু তা বাতিল করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় মানুষের ত্রাণের ব্যাপারে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি।