শেষ আপডেট: 30th May 2020 14:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লকডাউনের ফলে মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণে দুধ নষ্ট হচ্ছে। এদিকে গোরু পোষার খরচ কমছে না। তাই তিতিবিরক্ত হয়ে শনিবার সকালে বারাবনির রেলগেটের কাছে রাস্তায় লিটার লিটার দুধ ফেলে প্রতিবাদ জানালেন পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি এলাকার দুধ ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের ফলে মিষ্টির দোকান প্রথম দিকে বন্ধ হয়ে গেলেও পরে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাবে বলে জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু ক্রেতা সেভাবে না থাকায় অধিকাংশ মিষ্টির দোকান এখনও বন্ধ। এখন সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান রাখা সম্ভব কিন্তু ব্যবসায়ীরা নিজেরাই দোকান বন্ধ রাখছেন। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কারিগররা গ্রামে ফিরে যাওয়ার পরে এখনও কাজে যোগ দিতে আসেননি বা আসতে পারছেন না। তাই মিষ্টি বানানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই দুধ কিনছে না মিষ্টির দোকানগুলি। ফলে প্রতি দিন নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণে দুধ। প্রায় দুমাস ধরে গবাদি পশুর খাবার জোটাতে তাঁদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। এখনও সরকার তাঁদের পাশে না দাঁড়াতে পশুদের খাবার জোটানো মুশকিল হয়ে যাবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। বারাবনির বিডিও সুরজিৎ ঘোষ বলেন, “আমাদের সঙ্গে দুধ ব্যবসায়ীরা কোনও কথা বলেননি। আমার সঙ্গে কথা বললে আমি নিশ্চয় কিছু ব্যবস্থা করতাম। তবুও আমি কী করতে পারি দেখছি।” তবে শুধু বারাবনিতে নয়, রাজ্যের যে সব জায়গা থেকে মূলত শহরাঞ্চলের মিষ্টির দোকানে দুধ ও ছানা সরবরাহ করা হয় সেই সব জায়গার ব্যবসায়ীদেরই চরম দুর্গতির মধ্যে কাটাতে হচ্ছে। যে সব সংস্থা দুধ প্যাটেকজাত করে বিক্রি করে এখন চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে সেই ধরনের একাধিক সংস্থা আগের চেয়ে কম পরিমাণে দুধ কিনছে। সেটাও সমস্যার অন্যকম কারণ। লকডাউন এখন অনেকটাই শিথিল হয়েছে। পঞ্চম দফায় যদি লকডাউন থাকেও তখন অনেক কিছুই খুলে যাবে। তবে কারিগররা না এলে এবং ক্রেতারা মিষ্টি না কিনলে সমস্যা মিটবে না দুধ ব্যবসায়ীদের।