দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ করোনা সংক্রমণের কারণে মার্চ মাস থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামী কাল থেকে কলকাতায় শুরু হতে চলেছে মেট্রো পরিষেবা। অবশ্য তার জন্য অনেক নিয়ম মানতে হবে যাত্রীদের। মোবাইলে অ্যাপ থেকে টিকিট বুক করার পরেই মেট্রো স্টেশনে ঢুকতে পারবেন যাত্রীরা। তার আগেই অবশ্য ১৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ রবিবার নিট পরীক্ষার্থীদের জন্য চলল মেট্রো পরিষেবা।
কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল নিট পরীক্ষার্থীদের জন্য পরিষেবা দেওয়া হবে। অ্যাডমিট কার্ড দেখালেই স্টেশনে ঢুকতে পারবেন তাঁরা। সঙ্গে একজন অভিভাবক থাকতে পারবেন। তবে মাস্ক ও অন্যান্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। অবশ্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে।
সেইমতো রবিবার সকাল ১০টায় নোয়াপাড়া ও কবি সুভাষ স্টেশন চালু হয় মেট্রো পরিষেবা। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর চলবে এই পরিষেবা। এদিন অবশ্য পরীক্ষার্থী ও একজন অভিভাবক ছাড়া কাউকে যাত্রা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সোমবার থেকে সবার অনুমতি থাকবে যাত্রার।
করোনা সংক্রমণের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনেক আগেই রওনা দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। সকাল থেকেই দেখা যায় বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের বাইরে পরীক্ষার্থীদের ভিড়। অবশ্য একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে সবাইকে লাইন করে দাঁড়াতে হয়েছিল। প্রত্যেক স্টেশনেই পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্টেশনের বাইরে কলকাতা পুলিশ ও ভেতরে আরপিএফের আধিকারিকরা ছিলেন।
থার্মাল চেকিংয়ের পরেই সবাইকে মেট্রো স্টেশনের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। লাইন করেই ট্রেনে ওঠার ব্যবস্থা ছিল। প্রতিটি কামরার ভিতরে রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে যাতে সবাই থাকেন, সেদিকে নজর রেখেছেন তাঁরা। যাত্রীরাও জানিয়েছেন, মেট্রো পরিষেবার ফলে তাঁদের অনেকটা সুবিধা হয়েছে। স্টেশনের ভিতরে ও কামরার পরিষেবা দেখে তাঁরা সন্তুষ্ট বলেই জানিয়েছেন যাত্রীরা।
আগামী কালের মহড়াও এদিন খানিকটা সেরে ফেলল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী কাল থেকে কীভাবে স্টেশনের বাইরে ও ভিতরে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকবেন, কীভাবে সবাইকে সুরক্ষিত রাখা যাবে সেই সম্পর্কে অনুশীলন সেরে নেওয়া গেল এদিনই। প্রতিটি ট্রেন চলে যাওয়ার পরে পরবর্তী ট্রেন আসার আগে চলল প্ল্যাটফর্ম জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া। প্রতিটি ট্রেনকে যাত্রার শেষ একবার করে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
তবে আগামী কাল থেকে আরও বড় পরীক্ষার সামনে পড়তে চলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রো শহরবাসীর লাইফলাইন। তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছতে সবাই এই পথই ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। তাই কোনও ভাবেই যাতে কোনও সমস্যা না হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিষেবা দেওয়া যায় সেটাই চ্যালেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কাছে।