শেষ আপডেট: 28th September 2020 13:32
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ ভুল রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তি। একজনের রিপোর্ট দেওয়া হল অন্যজনকে। আর এই ভুল রিপোর্টের ফলে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান সেন্টারের বাইরে। এমনকি জোর করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ঝাঁপ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে অভিযোগ করা হয়েছে প্রশাসনে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার ডোমজুড়ের এক বাসিন্দা মুকিব মণ্ডল কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রীর প্রেগন্যান্সি রিপোর্ট করান এই ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে। এই প্রেগন্যান্সি রিপোর্টে জানা যায় তাঁর স্ত্রীর ওভারিতে টিউমার হয়েছে এবং মিসক্যারেজ হয়েছে। এই রিপোর্ট পেয়ে একদম ভেঙে পড়েন মুকিব। তাও তিনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য কলকাতার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ফের স্ত্রীর পরীক্ষা করেন। আর তাতেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যায়। কলকাতার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয় তাতে জানা যায়, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন মুকিব মণ্ডলের স্ত্রী। তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। গর্ভস্থ সন্তানও একদম সুস্থ। এরপরেই পুরনো রিপোর্ট নিয়ে ডোমজুড়ের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান মুকিব। সেখান থেকে বলা হয় রিপোর্ট বদল হয়ে গিয়েছে। অন্য এক মহিলার রিপোর্ট তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যেই এই খবর গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বাইরে জড়ো হন অনেক মানুষ। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সেন্টারের বিরুদ্ধে। মুকিব জানিয়েছেন, ভুল রিপোর্ট দেখে তিনি স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গেলে তাঁর বড় বিপদ হতে পারত। এই ক’দিন যে মানসিক সমস্যার মধ্যে তাঁদের কাটাতে হল তার দায় কার। কিছুদিন আগে এই সেন্টারে আরও একবার এই ধরনের ভুল রিপোর্ট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার পরে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা সেসব মানতে নারাজ। তাই সোমবার এলাকার বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শাটার বন্ধ করে দেন। এছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে ডোমজুড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন স্থানীয়রা।